বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ৩৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন শূন্য থাকায় এ বিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া ব্যহত হচ্ছে। আর বছরের পর বছর সহকারী শিক্ষকদের দ্বারা ওইসব বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করানো হচ্ছে।
রামপাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় সরকারি ও নতুন জাতীয়করণ প্রাথমিক বিদ্যালয় মিলে মোট বিদ্যালয় রয়েছে ১১৮টি। এরমধ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ আছে ১৮ টি। আর নতুন জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য আছে ২০টি। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় লেখাপড়া ব্যহত হচ্ছে।
একটি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয় এক প্রকার অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে। নিয়মিত তদারকি না থাকায় কতিপয় সহকারী শিক্ষক ইচ্ছামত আসা যাওয়া করেন। এতে শৃংখলা থাকে না। যিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন, তাকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে অন্যান্য সহকারী শিক্ষকবৃন্দ মানতে চান না। আর এ নিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পরস্পর দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রধান শিক্ষক নেই এমন বিদ্যালয়গুলোর মধ্য ফয়লাহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম গোবিন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভূঁইয়ারকান্দর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝনঝনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনাতুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোবিন্দপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গৌরম্ভা দঃ পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, রণসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনাকুড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বুঝবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া আরও কয়েকটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় কেমন চলছে এসব বিদ্যালয় এ বিষয়ে কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা বললে তারা বলেন, নৌকার মাঝি না থাকলে যেমন নৌকা ঠিকমত চলে না তেমনি একটি বিদ্যালয়ে যদি প্রধান শিক্ষক না থাকে তাহলে সেই বিদ্যালয়ও চলে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব শূন্যপদ পূরণের জন্য চেষ্টা চলছে। সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যে এসব স্কুলের প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ হবে।