হাকিম বাবুল, শেরপুর: শেরপুরে শনিবার আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তাবলীগ জামাতের তিন দিনব্যাপি জেলা ইজতেমা। শহরের উপকন্ঠে মৃগী নদীর তীরে অনুষ্ঠিত ইজতেমার আখেরী মোনাজাতে শরীক হন প্রায় তিন লক্ষাধিক মুসুল্লি। আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মার্কাসের শুরার জিম্মাদার মাওলানা ওফর ফারুক। মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-সমৃদ্ধি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করা হয়।
এর আগে কোরআন ও হাদিসের আলোকে ঈমান, আমল ও হেদায়েতের ওপর বিশেষ বয়ান করেন কাকরাইল মার্কাসের তাবলীগ মুরুব্বী মাওলানা মাহমুদুল হাসান ও মো. আব্দুল্লাহ। এ সময় বয়ান মঞ্চে একটি যৌতুক বিহীন বিয়েও পড়ানো হয়। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর আমবয়ানের মধ্যে দিয়ে এ ইজতেমা শুরু হয়েছিলো।
আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবার ভোর থেকেই ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের ঢল নামে। মোনাজাতে অংশ নিতে আসা মানুষ ময়দানে জায়গা না পেয়ে আশপাশের বাটারাঘাটা, অষ্টমী তলা সড়ক, পৌর কবরস্থান এবং আশপাশের মাঠে-ক্ষেতে যে যেখানে জায়গা পেয়েছেন, সেখানে বসেই মোনাজাতে শরীক হন। ইজতেমা ময়দানের প্রায় এক বর্গকিলোমটিার এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। আশপাশের বাসাবাড়িতে অবস্থান নিয়ে বিপুল সংখ্যক নারীও মোনাজাতে অংশ নেন। বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে আখেরী মোনাজাত শুরু হয় এবং ১২টা ১৪ মিনিটে শেষ হয়।
শেরপুর তাবলীগের আহলে শুরার সাথী নূর মোহাম্মদ জানান, ইজতেমা থেকে ৬৭টি চিল্লার জামাত (৪০ দিনের জামাত) আল্লাহর রাস্তায় বের হচ্ছে। শেরপুরের এ ইজতেমায় ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মালয়েশিয়ার তিনটি বিদেশী জামাতসহ ২৭৩টি দাওয়াতি জামাত অংশগ্রহণ করে। তিনি জানান, তাবলীগের কাকরাইল মার্কাসের মুরুব্বীদের সিদ্ধান্ত অনুসারে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় শেরপুরসহ দেশের ৩২টি জেলায় পর্যায়ক্রমে এভাবে জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৩২ জেলা করে একেকবার এ জেলা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।