হাকিম বাবুল, শেরপুর: দেশীয় প্রযুক্তিতে গাভি পালনের মাধ্যমে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষক পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জনের লক্ষ্যে শেরপুরে ‘মিল্কভিলেজ’ কর্মসূচি চালু করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। এ কর্মসূচির আওতায় শুক্রবার সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের তিলকান্দি গ্রামকে জেলার প্রথম মিল্কভিলেজ গ্রাম হিসেবে উদ্বোধন করা হয়।
এ উপলক্ষে স্থানীয় সরকারি তিলকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাভিপালন বিষয়ে এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই এলাকার অন্তত: তিনটি করে গাভি রয়েছে এমন ২৫ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন। প্রাণিসম্পদ বিভাগের মাঠ জরিপের চিত্রে দেখা যায়, তিলকান্দি গ্রামে মোট গাভি পালনকারী কৃষকের সংখ্যা ১৮১ জন এবং এ গ্রামে শংকরজাতের গাভি রয়েছে ২৭৬টি। প্রতিদিন এ গ্রামে ১ হাজার ৯৯৭ লিটার দুধ উৎপাদন হয়।
মিল্কভিলেজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ডা. এএম পারভেজ রহিম। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে বিশেষ অতিথি সদর ইউএনও মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পাকুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. হায়দার আলী, গাভি পালনকারী কৃষক ক্বারী আবুল হোসেন বক্তব্য রাখেন।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা জানান, কোনপ্রকার সরকারি অর্থ বরাদ্দ ছাড়াই ইনোভেশন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এলাকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে মিল্কভিলেজ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জেলার পাঁচ উপজেলায় মাঠজরিপের মাধ্যমে গাভিপালনকারী পাঁচটি গ্রামকে মিল্কভিলেজ করা হবে। এসব মিল্কভিলেজে ন্যায্যমূল্যে কিংবা বিনামূলে গাভী পালনকারীদের কৃত্রিম প্রজনন সেবা, টিকাদান, কৃমিনাশক ভ্যাকসিন প্রদান এবং রোগমুক্ত গাভি পালনে প্রশিক্ষণ প্রদান ও উঠান বৈঠক করা হবে। এছাড়া তাদেরকে গাভি পরিচর্যা বিষয়ে সচেতন করা এবং দুগ্ধ সমবায় সমিতিভুক্ত করে দুধের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা ও বাজার ব্যবস্থাপনার সাথে যুক্ত করা হবে। এতে এলাকার কৃষকদের আয় বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা বাড়বে।