বাগেরহাট প্রতিনিধি: ‘রাপমাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র কোন অবস্থাতেই সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি করবে না। কতিপয় পরিবেশবাদী ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।’ বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড প্রতিষ্ঠার চুক্তি স্বাক্ষরের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে আয়োজিতb মতবিনিময় সভায় এ কথা বলা হয়।
অধ্যক্ষ মীর জুলফিকার আলী লুলু অডিটরিয়ামে বিআইএফপিসিএল-এর এজিএম ইন্দ্রজিৎ বসাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ডা: মোজাস্মেল হোসেন এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশা এমপি, প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাড: শাহ আলম টুকু, প্রাক্তণ সভাপতি প্রফেসর এবিএম মোর্শারফ হুসাইন, বিআইএফপিসিএল-এর কর্মকর্তা আজিজুর রহমান, নবেন্দু লোদ, আনোয়ারুল আজিম, তরিকুল ইসলাম, দীনেশ মিস্ত্রি, জীবন নাগ, প্রনব কুমার প্রমুখ। সভায় সাংবাদিকসহ বিভিন্ন দপ্তর, বিভাগ, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ ও আর্থসামাজিক কোন ক্ষতি হবে কিনা-এ বিষয়ে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
সভায় সংসদ সদস্য ডা: মোজাস্মেল হোসেন ও মীর শওকাত আলী বাদশা বলেন, পদ্মা সেতুর মত আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল এই মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের বিরোধীতা করছে। তারা পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে আরও প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর তাঁরা গুরুত্ব দেন।
সভায় এজিএম ইন্দ্রজিৎ বসাক বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদাহারণ উল্লেখ করে জানান, সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিবেশের বা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের কোন প্রকার ক্ষতি করবে না।