রতন সিং, দিনাজপুর: রংপুর রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, যেসব থানার ওসি জনগণের সাথে ভালো ব্যবহার ও সেবার মান বৃদ্ধি করতে পারবে না তাদের থানায় ওসির দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হবে।
বুধবার দুপুর দেড়টায় দিনাজপুর শহরের ইন্সটিটিউট মাঠে জেলা পুলিশ সুপারের আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এখন আর পাকিস্তানী শাসন দেশে নেই যে থানায় বসে ওসিরা জনগণের সাথে দুর্ব্যবহার করে পার পেয়ে যাবে। কোন থানার ওসির বিরুদ্ধে জনগণের সেবার পরিবর্তে দুর্ভোগ বা খারাপ আচরণের অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ জনগণের সেবক ও বন্ধু হয়ে কাজ করবে। কোন অবস্থাতে পুলিশ শাসক বা শোষণকারী হয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে না। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পুলিশ সদস্যদের বেতন দেয়া হয়। পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজেদেরকে দেশের ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ভেবে দেশ ও জাতির স্বার্থে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের দায়িত্ব পালন করে যাবেন। এর অন্যথা হলে ওই পুলিশ সদস্যকে কোন প্রশয় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, বিশ্বে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা মাদক, মানব পাচার ও অস্ত্র পাচার। আমাদের দেশে একশ্রেণির অসাধু চক্র মাদকের ব্যবসায় যুব সমাজকে লেলিয়ে দিয়ে নিজেরা গড ফাদার হয়ে অন্তরালে বিত্তবান হচ্ছেন। ওই সব গডফাদারদের কমিউনিটি পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করতে হবে। মাদকের গড ফাদারদের গ্রেফতার করতে পারলে কমিউনিটি পুলিশ সদস্যদের ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেয়া হবে। মাদক এ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও নতুন প্রজন্মকে ধ্বংসের দিতে নিয়ে যাচ্ছে। এটা কোনভাবেই হতে দেয়া যাবে না। তিনি সকল স্তরের জনসাধারণকে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি জেলা থেকে উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন।
সমাবেশে দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোঃ হামিদুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, জেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম খান, সদস্য সচিব ও প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান কবিরুল ইসলাম, সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম আকাশসহ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ।