জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের বাজারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের সবজি আসলেও দামে দ্বিগুণ হারে বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা হতাশ হয়ে পড়েছে। হঠাৎ করে সবজির দাম বাড়ায় কাঁচাবাজারে ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন।
ঝিনাইদহের ছয় থানার বিভিন্ন হাটবাজারগুলো সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আগাম সবজির দাম যেন একেবারে আকাশছোঁয়া। ঝিনাইদহ জেলা সদরের সবজি বাজারগুলোতেও দাম চড়া, অনেকেই বাধ্য হয়ে বেশি দরেই সবজি কিনছেন।
এ সময়ে বাজারের দাম বাড়া সবজিগুলো হচ্ছে কেজি দরে সিম ৭০ টাকা, মেটে আলু ৮০ টাকা, কচু ৪০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, পাতা কপি ৪০ টাকা, মরিচ ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পিয়াজ ৪০ টাকা, রসুন ১৭০ টাকা, আদা ১০০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা এবং পালং ও সবুজ শাখ ৮ টাকা আঁটি।
এদিকে লাউ প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও লাল শাক, মুলা শাক, পাট শাক, পালং শাক, লাউ শাক অনেক বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ওয়াবদার বাজার, সদরের হাট, নগরবাথান বাজার, হলিধানীবাজার, হাটগোপালপুর, বাজার গোপালপুর, ডাকবাংলা বাজার, আঠার মাইল বাজার এলাকাগুলো সবজিগ্রাম হিসেবে পরিচিত। এসব বাজারে সবুজ সবজি আসলেও দাম বেশি।
ঝিনাইদহের জেলা সদরের ওয়াবদা বাজারে ক্রেতা হাফিজ মোল্লা বলেন, বাজারে এতো সবজি, তারপরেও দ্বিগুণ দাম। বাধ্য হয়েই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এই সবজি। হাফিজ মোল্লার সাথে যোগ দেন ভ্যানচালক আজগার আলী। তিনি বলেন, ভাই সারাদিন ভ্যান চালিয়ে যা রোজগার হচ্ছে তার বেশির ভাগই চলে যাচ্ছে এই কাঁচাবাজারে।
এ সময় কিছু সবজি বিক্রেতা ও কয়েকজন সবজি ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, ভাই কী বলবো, বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ক্ষেত চাষিদের কাছ হতে। তাই বেশি দাম দিয়ে কিনে লাভ তো করতে হবে। কেজি প্রতি ৫ টাকা করে লাভ করে থাকি।
এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ব্যবসায়ীরা দ্বিগুণ দরে বিভিন্ন সবজিতে লাভ করছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। এ দিকে সবজি ব্যবসায়ীরা নিজের ইচ্ছামত দাম বাড়ার কারণে প্রতিটি হাটবাজারে সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণ কমিটি গঠনের দাবি জানান ক্রেতারা।