হাকিম বাবুল, শেরপুর: দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার শিশু অন্ধত্ব বরণ করতো। তবে ১৯৯০-৯১ সালে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানো শুরু হওয়ার পর গত দুই যুগে অন্ধত্বরোধে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। এখন আর শিশুরা সেভাবে রাতকানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে না। বাবা-মা সচেতন হলে সহজেই এ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। প্রতিদিন শিশুকে ডিম-দুধ, কলা, লাল শাক, পেঁপে-গাজরসহ সবজি খিচুড়ি খাওয়ালে চিরদিনের জন্য রাতকানা রোগ নির্মূল হয়। এতে শিশুর প্রয়োজনীয় সকল ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ হবে।
জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে শেরপুরে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় সিভিল সার্জন ডা. মো. আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে সিভিল সার্জনের সভাকক্ষে বুধবার দুপুরে এ মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিভিল সার্জন জানান, আগামী ১০ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এবার শেরপুর জেলায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৩৯৯ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তন্মধ্যে ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮২৯ জন শিশুকে লাল রঙের একটি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ৬-১১ মাস বয়সী ২০ হাজার ৫৭০ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এজন্য জেলায় ১ হাজার ৪০৫টি কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা বিভাগের টিকাদান কর্মী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিরা ছাড়াও ৪ হাজার ২১২জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হয়েছে। এ ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে প্রচার-প্রচারণাসহ জনসচেতনতা বাড়াতে সংবাদ-নিবন্ধ প্রকাশসহ সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরার আহ্বান জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
এ সময় শেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা মো. সেলিম মিয়া, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. নিলাদ্রি হোড়ে, প্রেসক্লাব সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এতে জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট-ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।