স্বপন কুমার কুন্ডু, ঈশ্বরদী (পাবনা): আসন্ন পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সরকারদলীয় পাবনা-৫ আসনের এমপি গোলাম ফারুক প্রিন্সের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ করলেন চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহজেবীন শিরিন পিয়া। শুক্রবার বেলা ১২টায় তাঁর নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধিতে এমপি-মন্ত্রীদের কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা বা প্রচার-প্রচারণায় বিধিনিষেধ থাকলেও পাবনা সদর আসনের এমপি তা মানছেন না।
ইতিমধ্যেই তিনি সুজানগর, চাটমোহরসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভোটারদের একত্রিত করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রেজাউল রহিম লালের পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। যা ইতিমধ্যেই স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বলে তিনি জানান। পিয়া বলেন, আমার ভোটারদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানোসহ এবং ওপেন টেবিলে ভোট দিতে হবে বলে হুমকি প্রদর্শন করা হচ্ছে। প্রার্থী পিয়া এসময় পাবনা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধেও হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে পেশিশক্তি ও কালো টাকা ছড়িয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে পিয়া বলেন, আমি ইতিমধ্যেই জেলা রিটার্নিং অফিসারের নিকট লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে বিজয়ের শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে পিয়া বলেন, পাবনা সদরের কতিপয় নেতা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনকে অর্থবহ ও গ্রহণযোগ্য করতে হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোন বিকল্প নেই।
পিয়া বলেন, আমি ১০ উপজেলায় একাধিকবার জনসংযোগ করে ভোটারদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছি। তারা স্বতঃস্ফুর্তভাবে আমাকে সমর্থন দিয়ে উৎসাহিত করছেন। যে কারণে আমি বিজয়ের নিশান দেখতে পাচ্ছি। ইনশাল্লাহ, নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে আমি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে সক্ষম হবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এবং ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহজেবীন শিরিন পিয়া আরো বলেন, দলীয় প্রতীকে এই নির্বাচন হচ্ছে না। সংবিধান অনুযায়ী এটি নির্দলীয় নির্বাচন। আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আমার গণতান্ত্রিক অধিকার রয়েছে। গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে হলে এই অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তিনি নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে ঈশ্বরদীর প্রায় সকল জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিক ও স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জেলা রিটার্নিং অফিসার রেখা রানী বালো পিয়ার লিখিত অভিযোগ দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।