রতন সিং, দিনাজপুর: প্রচার প্রচারণায় দিনাজপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন জমে উঠেছে। ১৪টি ওয়ার্ডে ৪৯ জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী ও ৪টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ১৫ জন প্রার্থী নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারাভিযান চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান ও ২ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে জেলার ১৩টি উপজেলার ১০২টি ইউনিয়ন ও ৯টি পৌরসভায় ব্যাপক প্রচারাভিযান চলছে। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য বিদায়ী জেলা পরিষদের প্রশাসক আজিজুল ইমাম চৌধুরী। ২নং সাধারণ ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে আওয়ামী লীগের মোঃ আকবর আলী এবং ১নং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে মহিলা সদস্য পদে আওয়ামী লীগের সুফিয়া নাহার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
সাধারণ সদস্যদের জন্য ১ নং ওয়ার্ডে ২ জন, ৩ নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৪ নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ৫ নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৬ নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৭ নং ওয়ার্ডে ২ জন, ৮ নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৯ নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ১০ নং ওয়ার্ডে ৫ জন, ১১ নং ওয়ার্ডে ৩ জন, ১২ নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ১৩ নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ১৪ নং ওয়ার্ডে ৪ জন এবং ১৫ নং ওয়ার্ডে ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের ৪টি ওয়ার্ডের নির্বাচনে ২ নং ওয়ার্ডে ৫ জন, ৩ নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ৪ নং ওয়ার্ডে ৩ জন এবং ৫ নং ওয়ার্ডে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই নির্বাচনে ভোট দেবেন ১ হাজার ৪৭১ জন ভোটার। এর মধ্যে ১ হাজার ১২৬ জন পুরুষ ও ৩৪৫ জন মহিলা ভোটার।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মহিলা মেম্বার এবং পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলদের ভোটে নির্বাচিত হবেন সাধারণ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য। সাধারণ সদস্যদের চাইতে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদপ্রার্থীদের ভোটার সংখ্যা তিনগুণ বেশি হওয়ায় তাদেরকে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে বেশি পরিশ্রম ও সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের জন্য ২ নং ওয়ার্ডে ৩২৩ জন, ৩ নং ওয়ার্ডে ২৮০ জন, ৪ নং ওয়ার্ডে ২৯১ জন এবং ৫ নং ওয়ার্ডে ৩১১ জন ভোটারের সমর্থন আদায়ের জন্য ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালাতে হচ্ছে।
২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ১৪টি ওয়ার্ডের ভোট গ্রহণ করা হবে। সাধারণ ও মহিলা সদস্য পদ প্রার্থীরা সবাই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তাই আওয়ামী লীগের সাথে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হচ্ছে।