রবিউল হাসান রবিন, কাউখালী (পিরোজপুর): পিরোজপুরে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমার্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহ আলমের (আনারস প্রতীক) বিরদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোটারদের হুমকী ও নানা ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) পিরোজপুরের কাউখালীতে চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহ আলমের সমর্থনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান হওয়ার কথা থাকলেও থানার সামনে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির মাঠে প্যান্ডেল করে নির্বাচনী জনসভা করেছেন। এ ঘটনায় তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মহিউদ্দিন মহারাজ (কাপ পিরিচ প্রতীক) এবং আব্দুল্লাহ আল মাসুদ (চশমা প্রতীক)।
নির্বাচন কমিশন জেলা পরিষদ আইন (২০০০ সনের ১৯ নং আইন) এর ধারা ২০(২) এ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে যে বিধিমালা জারী করেছে তাতে কোন প্রার্থী ঘরোয়া সভা ব্যতিত কোন পথসভা বা জনসভা বা শোভাযাত্রা করতে পারবেন না।
মহিউদ্দিন মহারাজ অভিযোগ করে বলেন, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া এবং স্বরূপকাঠী থেকে নেতাকর্মীরা আনারস মার্কার সমর্থনে মিছিল এবং শোডাউন করে সভায় যোগ দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন আচারণবিধিতে সরকারি ডাকবাংলোসহ কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করতে পারবে না, কিন্তু মঙ্গলবার সমাবেশ শুরু হওয়ার আগে চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল হাকিম হাওলাদারসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে অবস্থান করেন। এছাড়া সমাবেশ শেষে দুপুরে কাউখালী সরকারি বালক বিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন।
গত ১ ডিসেম্বর পিরোজপুরের জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করে জেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অধ্যক্ষ মোঃ শাহ আলম পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক থেকে পদত্যাগের পরেও জেলা পরিষদ ভবনে জেলা পরিষদের চেয়ারে বসে দাপ্তরিক কাজ করেছেন।
এদিকে, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, কাউখালীতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় শাহ আলমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।