আত্রাইয়ে কুমড়োর বড়ি তৈরি করে স্বাবলম্বী অনেক পরিবার

একেএম কামাল উদ্দিন টগর, আত্রাই(নওগাঁ): নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় অনেক পরিবার কুমড়োর বড়ি তৈরি ও বিক্রি করে এখন স্বাবলম্বী। সরেজমিনে উপজেলার সাহেবগঞ্জ পালপাড়ায় গিয়ে দেখা যায় ৬/৭টি পরিবার কুমড়োর বড়ি তৈরি করছে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কুমড়োর বড়ি তৈরি করার আগে তাদের পারিবারিক অবস্থা তেমন স্বচ্ছল ছিল না। সংসারে সব সময় অভাব-অনাটনে লেগে থাকতো। এক বেলা পেট ভরে খেলে অন্য বেলায় খেতে পারবে কি-না তা নিয়ে শংকায় থাকতে হতো। কিন্তু বর্তমানে কুমড়োর বড়ি তৈরি করে তারা এখন স্বাবলম্বী।

কুমড়োর বড়ি তৈরি করে শুকাতে দিচ্ছে একটি পরিবার।

কীভাবে এই বড়ি তৈরি করতে হয় জানতে চাইলে তারা জানান, ডাল ভিজিয়ে রৌদ্রে শুকিয়ে গুরো করে ছোট ছোট বড়ি করে টিনের উপর কিংবা বাঁশের চাটাই বা মাচার উপর শুকাতে হয়। আগে পরিবারের মেয়েরা সারা রাত শিল পাটায় ডাল গুরো করে তা সারা দিন রোদ্রে শুকানোর পর কুমড়ো বড়ি তৈরি করতো। এখন আর রাত ভর শিল-পাটায় ডাল গুরো করতে হয়না। মেশিনের সাহায্যে ঘন্টার মধ্যই অনেক ডাল গুরো করে বড়ি তৈরি করা যায় এমনটাই জানালেন উপজেলার সাহেবগঞ্জ পালপাড়ার এক কুমরো বড়ি তৈরির কারিগর ।

নারায়ন চন্দ্র বৈরাগী জানালেন, কুমড়োর বড়ি তৈরি করতে প্রথমে তাদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হতো। কিন্তু এখন ততটা পরিশ্রম করতে হয় না। কেননা এখন মেশিনের মাধ্যমে ডাল ফিনিস করা হয়, শুধু হাতের মাধ্যমে বড়ি তৈরি  করতে হয়।

কুমড়োর বড়ি তৈরির আরেক কারিগর শ্রী গোপাল চন্দ্র বৈরাগী জানান, বড়ি তৈরিতে আমাদের পাশাপাশি পরিবারের নারীরাও কাজ করে থাকে। আমি এক দিনে আমার চাতালে ১০০ তেকে ১২০ কেজি কুমড়োর বড়ি তৈরি করতে পারি। তারা জানান, হাট বাজারে কুমড়োর বড়ি খুচরা বিক্রি হয় ১৬০-২০০ টাকা কেজি দরে এবং ঢাকার পাইকার ১২০/১৩০ টাকা কেজি দরে বড়ি কেনেন। বড়ি সারা বছর তৈরি করা গেলেও এটা শীতের সময়টাতে বেশি তৈরি করা হয়। কারণ এটি শীতের সময় রান্না করে খেতে বেশি ভাল লাগে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.