মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন এবং পরিকল্পায় এই পায়রা বন্দর। এই বন্দরের নামকরণও তিনি করেছেন। পায়রা শান্তির প্রতীক তাই বন্দরের নাম দিয়েছেন পায়রা বন্দর। আর এই বন্দরকে ঘিরে গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে। সৃষ্টি হবে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান। তাই পায়রা বন্দরের কাজে গতি আনতে আজ আমরা পায়রা বন্দরের চারলেন রাস্তার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলাম। এই চারলেন রাস্তা হবে আরসিসি এবং এতে ব্যয় হবে ২৫৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
রোববার দুপুরে কলাপাড়ার টিয়াখালী নদীর পাড়ে স্থাপিত দেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর পায়রা বন্দর থেকে কুয়াকাটাগামী মহাসড়কের রজপাড়া-পায়রা বন্দর পর্যন্ত চারলেনের সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ (ট্যাজ), নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সচিব অশোক মাধব রায়, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমডোর মো. সাইদুর রহমান (ট্যাজ), আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান এমপি, কলাপাড়া উপজেলা চেয়াম্যান আব্দুল মোতালেব তালুকদার, পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, টিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মশিউর রহমান শিমুসহ নৌ-বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও স্থানীয় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা ।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে ঢাকা-পায়রা রেলপথ নির্মাণ ও পরিচালনায় যুক্তরাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে বাংলাদেশ রেলওয়ের সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে। বন্দর এলাকায় বিমার বন্দর, ড্রাই ডক, পর্যটন কেন্দ্র, অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নৌপথ, সড়কপথ, রেলপথের পাশাপাশি আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় বিমান বন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আধুনিক সুবিধা সংবলিত কুয়াকাটাগামী মহাসড়কের রজপাড়া থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত পাঁচ দশমিক ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়ক নির্মাণে ২৫৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয় হবে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে । বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী সড়কটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করবেন। ইতোমধ্যে সড়কটি নির্মাণ করতে ৫৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। পরিবেশের উন্নয়নের জন্য সড়কের উভয় পাশে বৃক্ষ রোপন, সংলগ্ন এলাকায় পানি চলাচল অব্যাহত রাখার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ব্রিজ নির্মাণ, রাস্তা বিদ্যুতায়ন করা হবে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণ করা হবে। রাস্তা নির্মাণের ফলে পায়রা বন্দরের সঙ্গে সড়ক পথেও পণ্য খালাসের পথ সুগম হবে।
২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট পায়রা বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৩ সালের ১৯ নবেম্বর পায়রা বন্দরের শুভ উদ্বোধন করা হয়।