প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা: অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় এক সাংবাদিককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন সাতক্ষীরা বাঁশদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা।
রোববার রাতে সদর উপজেলার বাঁশদহ এলাকায় চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনের নির্যাতনে আহত হন দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার বাঁশদহ প্রতিনিধি জুলফিকার আলী। জুলফিকার বাঁশদহ গ্রামের রাহাতুল্লাহ সরদারের ছেলে।
রাহাতুল্লাহ জানান, রোববার রাতে চেয়ারম্যানের ভাই ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম গোপনে কম্বল বিতরণ করেন। জুলফিকার রাতে মোবাইল ফোনে কম্বল বিতরণ নিয়ে শহিদুলের কাছে তথ্য জানতে চান। এ সময় ইউপি পাশে থাকা চেয়ারম্যান তার ভাইয়ের কাছ থেকে ফোনটি কেড়ে নিয়ে জুলফিকারকে গালাগাল করে তার (জুলফিকারের) অবস্থান জেনে নেন। এর পর মোশাররফ, শহীদুল, উজির আলির ছেলে মিঠু, শফির ছেলে শহিদ, আরিজুলের ছেলে তারিকুজ্জামানসহ ৮-১০ জনের সন্দ্রাসী দল লোহার রড, লাঠিসোঁটা নিয়ে কয়েকটি মোটরসাইকেলে চড়ে জুলফিকারকে খুঁজতে থাকেন। জুলফিকারকে তার বাড়ির সামনে পেয়ে তারা মারপিট শুরু করেন। এসময় তার হাতের নখ তুলে নেয় তারা। জুলফিকারের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সরে পড়ে। গুরুতর আহত সাংবাদিক জুলফিকার আলী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরো জানান, কয়েক মাস আগে বাঁশদহ এলাকার ১০ টাকা কেজি দরের চাউল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ। এ নিয়ে জুলফিকার আলী একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন জুলফিকারের উপর ক্ষুব্ধ ছিল। এর জের ধরে রোববার রাতে তাকে মারপিট করা হয় বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি কোনো সাংবাদিককে মারপিট করি নাই। সাংবাদিক জুলফিকার আমার চাচাতো ভাই। তার সাথে আমাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। যে কারণে বাড়ির লোকজন তার সাথে ছোটখাটো একটি ঝামেলা করেছে মাত্র।
জুলফিকার আলী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ আমার কোনো আত্মীয় নন। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে তিনি এমন অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
এ ঘটনায় জুলফিকারের বাবা রাহাতুল্লাহ সরদার বাদী হয়ে সাতক্ষীরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।