কড়া পাহারার মধ্যেও চুরি গেল ট্রেনের ফ্যান-ব্যাটারি

স্বপন কুমার কুন্ডু, ঈশ্বরদী (পাবনা): রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সার্বক্ষণিক পাহারার মধ্যেও ঈশ্বরদীর রেল ইয়ার্ডে রক্ষিত ট্রেনের কামরা হতে ফ্যান ও ব্যাটারি চুরি হয়েছে।

চুরির ঘটনায় ৪ জানুয়ারি ঈশ্বরদী রেল থানায় একটি মামলা হলেও কবে চুরি কবে সংঘটিত হয়েছে সংশ্লিষ্টরা তা নিয়ে কিছুই বলতে পারছেন না।

এসব বগি থেকে ফ্যান চুরি হয়। ইনসেটে ফ্যানের বিচ্ছিন্ন হওয়া সুইচ ও ক্যাবল।

চুরি যাওয়া সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ১৯টি ফ্যান ও পাওয়ার কারের ১২ ভোল্টের চারটি ব্যাটারি। চারটি কোচ ও একটি পাওয়ার কারের ভেতর থেকে এসব জিনিস চুরি যায়।

কোচগুলোর দরজায় তালা মারা ছিল। চোর দুটি বগির সংযোগস্থলের প্লেট উঠিয়ে কামরায় ঢুকে চুরি করেছে বলে ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।

ইন্দোনেশিয়া হতে আমদানি করা যাত্রীবাহী ট্রেনের একটি এসি কেবিন কোচ , দুটি এসি চেয়ার কোচ এবং জার্মানি হতে আমদানি করা একটি এসি কেবিন কোচ, একটি এসি চেয়ার কোচ ও পাওয়ার কার হতে এসব বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরি হয়।

রেলওয়ের ইলেকট্রিক সাপ্লাই বিভাগ এবং স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট চুরির বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

ঈশ্বরদী জংশন নিরাপত্তার জন্য রেলওয়ে থানা এবং রেলওয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) রয়েছে। রেল ইয়ার্ড রাত-দিন ২৪ ঘন্টা রেল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পাহারা দেয়। এই পাহারার মধ্যে কীভাবে চুরি হলো এ নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

চুরি বিষয়ে স্টেশন সুপার জানান, ইয়ার্ডে কখন কোন ট্রেন আসবে, কোন ট্রেন ছেড়ে যাবে এবং ইয়ার্ডের কোথায় কোন বগি রাখা হবে এগুলো  দেখার দায়িত্ব তার। নিরাপত্তার জন্য আলাদা দুটি বিভাগ রয়েছে বলে জানান তিনি

এদিকে রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় সদর দপ্তরের ডিইই মুঠোফোনে চুরির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। রেলওয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার জুবায়ের জানান, এঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ের ইলেকট্রিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী এম কে নূরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৪ জানুয়ারি রেল থানায় মামলা দায়ের করেছে। তবে এই চুরি কবে সংঘটিত হয়েছে এ বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.