প্রতিনিধি, বাগেরহাট: কচুয়া উপজেলার ধোপাখালীর ছিটাবাড়ি গ্রামে সোমবার রাতে মুক্তিযোদ্ধা শেখ আতাহার হোসেনের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে ও পিটিয়ে আতাহার হোসেনের ছেলে নেয়ামুল শেখ (৩২) ও ফারুক শেখকে (২০) আহত করেছে।
নেয়ামুলের হাতের কয়েকটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গুরুতর অবস্থায় রাতে তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াত জোটের ক্যাডার বেল্লালের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন ওই মুক্তিযোদ্ধা। বেল্লাল ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন মেম্বার মাহাতাবের ভাইপো।
এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা শেখ আতাহার হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ মোস্তফা নামে এক আসামিকে আটক করেছে।
শেখ আতাহার হোসেন জানান, জাল টাকা ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি বেল্লালের নেতৃত্বে জুয়েল, ইমরান, মোস্তফা, সত্তারসহ ১৫-২০ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী রাত ৮টার দিকে তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়িঘর ভাঙচুর ও মালামাল লুট করে। বাধা দিতে গেলে রামদা এবং লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে বাড়ির লোকজনদের আহত করে। এতে তার ছেলে নেয়ামুলের হাতের একাধিক আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনি নিজেও আহত হন।
হামলার খবর শুনে সদর আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. মীর শওকাত আলী বাদশা ও পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বাগেরহাট হাসপাতালে ছুটে যান।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবিরুল ইসলাম জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে রাতেই্ মামলা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা শেখ আতাহার হোসেন বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার ৪ নম্বর আসামি মোস্তফাকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটক করতে অভিযান চলছে।