স্বপন কুমার কুন্ডু, ঈশ্বরদী (পাবনা): গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশার পর শুক্রবার হতে ঈশ্বরদীতে শীত জেঁকে বসেছে। শুক্রবার এখানকার তাপমাত্রা ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলেও একদিনের ব্যবধানে শনিবার প্রায় ২ ডিগ্রি নেমে ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় রোদ উত্তাপ ছড়াতে পাড়েনি শীতার্ত মানুষের শরীরে। বয়স্করা বলছেন, মাঘের শুরুতেই শীতের তীব্রতায় বাঘ ডাকার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
উত্তরের হিমেল হাওয়ায় পদ্মা পাড়ের ও চরাঞ্চলের ছিন্নমূল মানুষগুলো হাড়কাঁপানো শীতে নাজেহাল হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যার পর এবং সকালে মানুষ পথের ধারে খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। শুক্রবার গভীর রাতে সরেজমিনে ঈশ্বরদী জংসন ষ্টেশনে শীতে কাতর ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষদের অবর্ণনীয়ভাবে রাত্রী যাপন করতে দেখা গেছে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস এই অবস্থাকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সন্ধ্যার পর পরই গুরুত্বপূর্ণ ঈশ্বরদী শহর জনশুণ্য হয়ে পড়ছে। শীত নিবারণের জন্য রেলওয়ের পুরাতন কাপড়ের মার্কেটে শীতবস্ত্র কিনতে নি¤œ আয়ের লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েছে।
এদিকে ঈশ্বরদী হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক ডা: আব্দুল বাতেন জানান, শিশুরা কোল্ড ডায়ারিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া বৃদ্ধরা শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, হৃদরোগ, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের ভিড় জমিয়েছে।