প্রতিনিধি, বাগেরহাট: বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাকডাঙ্গা এলাকায় বাসের চাপায় একই পরিবারের দুই শিশুসহ চারজন মারা গেছে। এ দুর্ঘটনায় আরো দুই শিশু আহত হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাগেরহাট-মাওয়া মহাসড়কের ফকিরহাট চেয়ারম্যানের মোড়ে কমফোর্ট পরিবহনের একটি বাস ব্যাটারিচালিত একটি যাত্রীবাহী ভ্যানকে চাপা দিলে ভ্যানটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই দুই শিশুসহ চারজন মারা যায়।

নিহতরা হলো বাগেরহাট সদর উপজেলার কোদলা গ্রামের আজাদ শেখ (৪০), তার স্ত্রী শিখা বেগম (৩৫) এবং তাদের নাতি রাজু (১৩) ও তামান্না আক্তার (৭)।
গুরুতর আহত হাসিবুর ও আজাদ শেখের আরেক নাতি রনিকে প্রথমে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর ব্যস্ততম ওই সড়কে ঘন্টাব্যাপী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
ফকিরহাট এলাকার বাসিন্দা আজাদ শেখ নিজে ভ্যান চালিয়ে তার স্ত্রী শিখা বেগমসহ তিন নাতি রাজু (১৩), তামান্না (৭) ও রনিকে (১১) নিয়ে চিতলমারীর বড়বাড়িয়া গ্রামের জামাই বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে হাসিবুর রহমান নামের আরেক যাত্রীকে ভ্যানে তোলেন আজাদ শেখ।
ফকিরহাটের কাঠালতলা রাস্তা দিয়ে কাকডাঙ্গা চেয়ারম্যানের মোড় থেকে ভ্যানটি বাগেরহাট-মাওয়া সড়কে উঠলেই চট্টগ্রামগামী কমফোর্ট পরিবহনের বাস তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহত শিশু রাজু ও তামান্না জেলার চিতলমারী উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের কলিম উল্লাহর ছেলে-মেয়ে।
বাগেরহাটের কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশের এসআই জামাল হোসেন জানান, বাসচালক ভ্যানযাত্রীদের ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত এবং শিশুসহ দুজন আহত হয়। নিহতের মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ফকিরহাট থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর তারা দ্রত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ঘাতক বাসটিকে গোপালগজ্ঞ জেলার কাশিয়ানী পুলিশ আটক করেছে।