স্বপন কুমার কুন্ডু, ঈশ্বরদী (পাবনা): গুরুত্বপূর্ণ ঈশ্বরদী শহরের পশ্চিমে বিপুল সংখ্যক জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার দাবি উঠেছে। ঈশ্বরদী জংশন ষ্টেশন ও রেললাইনকে কেন্দ্র করে ঈশ্বরদী শহর পূর্ব ও পশ্চিমে বিভক্ত। পূর্বপাশে বাজার এলাকায় সরকারি-বেসরকারি অনেকগুলো ব্যাংকের শাখা থাকলেও পশ্চিমে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ব্যাংকের কোন শাখা নেই। অথচ ওই এলাকায় প্রায় ২ লক্ষাধিক জনসংখ্যা রয়েছে।
এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে পিয়ারপুর, সাঁড়াগোপালপুর, মাঝদিয়া, পশ্চিমটেংরী, বাবুপাড়া, স্কুলপাড়া, শৈলপাড়া, মৌবাড়িয়া, চারাবটতলা, গোকুলনগর, এয়ারপোর্ট এলাকাসহ আরও বেশ কয়েকটি পাড়া ও মহল্লা। ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ এবং এর বিভিন্ন দপ্তর, রেজিষ্ট্রি অফিস, কোল্ডষ্টোরেজ, ঈশ্বরদী তহশীল অফিস, রেলওয়ের পে এন্ড ক্যাশ অফিস, মিলিটারী ফার্ম, আবহাওয়া অফিস, সাঁড়া মাড়োয়ারী স্কুল এন্ড কলেজ, ঈশ্বরদী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, বাংলাদেশ টোবাকো কোম্পানির পরিবেশক, ইউনিলিভার-এর পরিবেশক, বিকাশ-এর পরিবেশক, গ্রামীণ ফোনের পরিবেশক, জুট মিল, দুটি বিড়ি ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এই এলাকায় অবস্থিত।
এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিনই বিপুল পরিমান আর্থিক লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে সম্পাদিত হচ্ছে। এই লেনদেনের জন্য ঝুঁকি নিয়ে পূর্বপাশে অবস্থিত ব্যাংকে আসতে হয়। এতে ঝুঁকির পাশাপশি বিড়ম্বনায়ও ভোগ করতে হচ্ছে গ্রাহকদের। রেলগেট পাড় হয়ে যাতায়াতে অনেক সময় নষ্ট হয়। কারণ ঈশ্বরদী জংশন ষ্টেশনের উপর দিয়ে অনেকগুলো ট্রেন প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চলে চলাচল করে। এসময় রেলগেট বন্ধ থাকায় দীর্ঘ সময় আটকে থাকায় বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়। পাশাপাশি সৃষ্টি হয় যানজট। এতে ৩০-৪০ মিনিট পর্যন্ত আটকে থাকার কারণে টাকা-পয়সা নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের চরম ঝুঁকিতে থাকতে হয়।
জানা যায়, একসময় চারাবটতলা এলাকায় এবং বাবুপাড়ায় জনতা ও রূপালী ব্যাংকের শাখা ছিল। অদৃশ্য কারণে এক যুগেরও বেশি সময় আগে এই শাখা বন্ধ হয়ে গেছে।
এই অবস্থায় জমিজমা রেজিষ্ট্রির ফিস, মিলিটারী ফার্ম, বিটিসি’র পরিবেশক, ইউনিলিভারসহ অনেক প্রতিষ্ঠানকে কোটি কোটি লেনদেনের জন্য ঝুঁকির পাশাপাশি বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। এই অবস্থায় এলাকাবাসী ও প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের শাখা প্রতিষ্ঠার দাবি জানালেও তা বাস্তবায়নে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।