রবিউল হাসান রবিন, কাউখালী (পিরোজপুর): কুকুরের কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়া একটি গাভীর দুধ পান করে এখন আতঙ্কে দিন কাটছে কাউখালীর একটি কলেজের ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর।
গাভীটি মারা যাওয়ার পর তাদের মধ্যে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে দুধপায়ীদের ক’জন জলাতঙ্ক রোগের টিকা নিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি কাউখালী মহিলা কলেজের একজন কর্মচারী কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্যসহ ১৮ শিক্ষক-কর্মচারীকে তার পালিত গাভীর দুধ খেতে দেন। কিন্তু ক’দিন আগে গাভীটিকে একটি পাগলা কুকুর কামড়ে দেয়। কুকুরে কামড়ানোর তথ্য ওই কর্মচারীর জানা ছিল না।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে গরুটি মারা যায়। গাভীটিকে কুকুরে কামড়ে দেওয়ার কথা জানাজানি হলে দুধপায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, কলেজের গভার্নিং বডির সদস্য, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ ১৮ থেকে ২০ জন শিক্ষক-কর্মচারী ওই কর্মচারীর বাসা থেকে পাঠানো গরুর দুধ পান করেন। পাঁচ দিন পর তারা জানতে পারেন গরুটি পাগলা কুকুরের কামড়ে অসুস্থ ছিল। পরে গরুটি মারা যায়। এটা জানতে পেরে তাদের মধ্যে জলাতঙ্কের আতঙ্ক দেখা দেয়। অনেকে স্থানীয় চিকিৎসক কাছে গেলে চিকিৎসক তাদের জলাতঙ্ক প্রতিরোধক ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কয়েকজন ভ্যাকসিন নিলেও এলাকায় ভ্যাকসিন সংকট ও দাম বেশি হওয়ায় অনেকে এখনো ভ্যাকসিন নিতে পারেননি।