মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাঞ্চল্যকর তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র শিশু আরাফাত হোসেন সাঈফ হত্যা মামলার রায়ে একমাত্র আসামি শাকিল হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থ জরিমানা করেছেন আদালত। শাকিল কালীগঞ্জ উপজেলার কাঠালে সুন্দরপুর গ্রামের মোবাশ্বের হোসেনের ছেলে। বুধবার বিকালে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সানা মোঃ মাহরুফ হোসাইন এই রায় প্রদান করেন।
আদালতের নথি সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৭ অক্টোবর শিশু আরাফাত হোসেন সাঈফকে (৮) কালীগঞ্জ শিশু একাডেমি স্কুলে পৌঁছে দেয়ার জন্য নিয়ে যায় আসামি শাকিল। এরপর সাঈফকে স্কুলে না দিয়ে হেলাই গ্রামের একটি আখ ক্ষেতে নিয়ে হত্যা করে। ঘটনার দিনই এলোমেলো কথাবার্তা বলার কারণে জনতার হাতে আটক হয় শাকিল। এরপর সাঈফ হত্যার কথা স্বীকার করে শাকিল। তার দেওয়া তথ্য মতে সাঈফের লাশ এবং জুতা ও ঘড়ি উদ্ধার হয়।
আসামি শাকিল নিহত সাঈফের বাবা নুর হোসেন লোটাসের দোকানের কর্মচারী ছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সাইফকে হত্যা করা হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় শিশু সাঈফের মামা ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার বাসিন্দা আবু সাঈদ পিন্টু বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। আদালত ১৪ জন সাক্ষির সাক্ষ্য নিয়ে শাকিলকে দোষি সাব্যস্ত করে ৩০২ ধরায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
একই সাথে তাকে দণ্ডবিধির ২০১ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আদালত তার পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামির সর্বোচ্চ ফাঁসির দাবি জানালে সংঘটিত ঘটনার সময় আসামির বয়স ১৭ বছর ১১ মাস ১৬ দিন হওয়ায় বয়স বিবেচনায় তাকে মুত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।