মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের সদর রোড এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সদর রোড এলাকার অভিরামের মিষ্টির দোকান থেকে আগুনোর সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা হলেন নরউত্তম ঘোষের দধি-ঘোলের দোকান, গৌরহরী পালের মুদি দোকান, মো. ইউনুচের মুদি চালের দোকান, মো. মনিরের চালের দোকান, আবুল হোসেনের চালের দোকান, মো. কালামের মুদি দোকান, মো. বারেকের মুদি ও চালের দোকান এবং আবু ইউসুফ মিয়ার দোকানের ভাড়াটিয় দলিল লেখক হাকিম মুসুল্লী ও জাকির মুসুল্লীর এবং অপর এক ডিম বিক্রেতার দোকান। এ ছাড়া অংশিক ক্ষতি হয়েছে যমুনা ইলেকট্রনিক্স এর শো-রুম ও আবু মিয়ার বেকারী।
সোমবার সকালে আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান তালুকদার এমপি, উপজেলা চেয়াম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম সাদিকুর রহমান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী নরোত্তম চন্দ্র ঘোষ জানান, রাত সাড়ে তিনটার সময় মিষ্টির দোকানের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। এরপর মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে কলাপাড়া ও পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ক্ষতিগ্রস্ত মুদি ব্যবসায়ি আবুল কলাম জানান, আগুনে আমার দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। দোকানের কোন মাল রক্ষা করতে পারিনি। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা এ ঘটনায় সরকারি সহায়তা প্রার্থনা করছেন।
কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, প্রাথমিকভাকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপন করার কাজ চলছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা তদন্তের পর বলা যাবে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম সাদিকুর রহমান জনান, আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা হবে।