শহীদ মামুনের মৃত্যুবার্ষিকীতে জামাত-শিবিরের খুনীদের প্রতিহত করার অঙ্গীকার ছাত্রলীগের

আমিনা বিলকিস ময়না, সাতক্ষীরা: শহীদ মামুনের মৃত্যুবার্ষিকীতে একাত্তরের ঘাতক জ্ঞান বিজ্ঞানের শত্রু মানবতার দুশমন জামাত শিবিরের খুনীচক্রকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিহত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা জামাত শিবিরকে মোকাবেলার জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

Satkhira Chatralegue meeting
শহীদ মামুনের মৃত্যুবার্ষিকীতে জামাত-শিবিরের খুনীদের প্রতিহত করার অঙ্গীকার ছাত্রলীগের।

মঙ্গলবার বিকালে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, জামাত-শিবিরের হাতে নির্মমভাবে নিহত এ.এম.বি মামুন হোসেনের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের আয়োজনে জেলা ছাত্রলীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর হুসাইন সুজনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম শওকত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নান, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মঈনুল হাসান জাহিদ, পৌর যুবলীগের আহবায়ক মনোয়ার হোসেন আনু, যুগ্ম আহবায়ক তুহিনুর রহমান তুহিন, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. জাবিদ হাসান জনি, আরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, সদর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান শাওন, শহর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাফুর রহমান, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মিঠুন ব্যানার্জী, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী শাহেদ পারভেজ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামাত শিবিরের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন সাতক্ষীরা সিটি কলেজের প্রভাষক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এ.এম.বি মামুন হোসেন। একাত্তরের ঘাতক সাঈদীকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক আদালত ফাঁসির রায় ঘোষণা করলে সাতক্ষীরায় তাণ্ডব লীলায় মেতে ওঠে জামাত-শিবিরের ঘাতকেরা। শহরের কদমতলা মোড়ে জামায়াত-শিবিরের হাজার হাজার নেতা-কর্মী জড়ো হয়ে জঙ্গি হামলা হালায়। বৃষ্টির মতো বোমা ককটেল ইট-পাথর নিক্ষেপ করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপর। এ সময় জামাত-শিবিরের ক্যাডাররা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা প্রভাষক এ.এম.বি মামুন হোসেনের বাড়িতে পানি খাওয়ার নাম করে প্রবেশ করে। প্রভাষক মামুন পানি নিয়ে আসামাত্রই তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাথা থেতলে দেয় জামাত-শিবিরের খুনীরা। ঘাতকেরা নৃশংসভাবে মামুনের জীবন কেড়ে নেয়।

আলোচনা শেষে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.