মধুপুরে মা ও প্রতিবেশীকে কুপিয়ে হত্যা

আব্দুল্লাহ আবু এহসান, মধুপুর ( টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের মধুপুরে মিরাজ (২৮) নামের এক যুবক দা দিয়ে কুপিয়ে নিজের মাকে হত্যা করেছে। মা মিনারা বেগমকে (৫০) দা দিয়ে কোপানোর সময় বাধা দিতে এসে প্রতিবেশী আকবর আলী (৫২) মিরাজের হাতে নিহত হয়েছেন। এলাকাবাসী মিরাজকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। পুলিশ মিরাজসহ বাবা মুহাম্মদ আলী ও বড় ভাই আল আমীনকে (চেঙ্গু) আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। সোমবার সকাল ৭টার দিকে মধুপুর উপজেলার আউশনার ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামের কৈয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মিরাজ (গেঞ্জি গায়ে) বাবা মুহাম্মদ আলী ও বড় ভাই আল আমীনকে পুলিশ আটক করেছে।

এলাকার ছোহরাব আলী, আলী আকবর, হায়েত আলী, বাছেদ আলীসহ অন্যান্যরা জানান, সোমবার সকালে মিরাজের সাথে তার মায়ের কি নিয়ে যেন কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। এক পর্যায়ে মিরাজ ঘর থেকে দা এনে মা মিনারা বেগমকে (৫০) এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ ঘটনায় প্রতিবেশী সাবু মিয়ার ছেলে আকবর আলী (৫২) বাধা দিতে আসেন। মিরাজ ক্ষুব্ধ হয়ে তার উপরও চড়াও হয়। দায়ের এলোপাতাড়ি কোপে মিনারা বেগম ও আকবর আলী  উঠানে পড়ে যান। মিরাজ মাথায় কুপিয়ে কুপিয়ে তাদের থেঁতলে দেয়। ঘটনাস্থলে তাদের দুজনেরই মৃত্যু হয়। খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শত শত নারী-পুরুষ এক নজর দেখতে ঘটনা স্থলে ছুটে আসেন। অনেকেই এসে খুন হওয়া দুই মৃত দেহের বিচ্ছিন্ন ও থেঁতলানো মাথা দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মোটের বাজারের পূর্ব পাড়া এলাকার মর্জিনা বেগম লাশ দেখে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এলাকার অনেকে মিরাজকে মাদকাসক্ত ও মানসিক প্রতিবন্ধী বলে উল্লেখ করেছেন।

এদিকে ঘটনার পর পরই এলাকাবাসী মিরাজকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে মিরাজসহ বাবা মুহাম্মদ আলী ও বড় ভাই আল-আমীনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

মধুপুর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, খুনি মিরাজকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিরাজের সাথে তার বাবা ও এক ভাইকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এলাকার লোকজন মিরাজকে পাগল ও নেশাগ্রস্ত বললেও এ বিষয়ে তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না।  সুরতহাল রিপোর্ট লিখে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.