জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবলীগ নেতা খুন হয়েছেন।
মনোহরপুর গ্রামে মঙ্গলবার গভীর রাতে সংঘটিত এ সংঘর্ষের সময় বিপুল মণ্ডল (২৩) নামের ওই যুবলীগ এক নেতাকে ছুরি মেরে মারাত্মক আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। হাসপাতালে নেবার পথে বিপুল মারা যান।
মনোহরপুর গ্রামের ফজলু মণ্ডলের ছেলে বিপুল শিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
সংঘর্ষে আরো চার জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ছাত্রলীগকর্মী জাহাঙ্গীরকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সংঘর্ষের ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার ইমরান আলম জানান, এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পুকুরিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা লিটন মেম্বার ও মনোহরপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা বজলু মণ্ডলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। লিটন গ্রুপের লোকজন বিপুল ও তার সঙ্গী জাহাঙ্গীরের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বিপুল ও জাহাঙ্গীরকে কুপিয়ে জখম করা হয়। আহত হয় আরো দুজন। গুরুতর আহত বিপুলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। আহত চার জনকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। জাহাঙ্গীরের অবস্থার অবনতি হলে রাত একটার দিকে তাকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
ছাত্রলীগের এক নেতা জানান, বিপুল ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশ এখন পর্যন্ত ঘটনার প্রধান আসামি লিটন গ্রুপের সোহাগসহ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।