যৌন হয়রানির অভিযোগে বরখাস্ত শিক্ষকের স্থায়ী চাকরিচ্যুতি চেয়ে ঈশ্বরদীতে বিক্ষোভ

স্বপন কুমার কুন্ডু, ঈশ্বরদী (পাবনা): যৌন হয়রানির অভিযোগে বরখাস্ত ঈশ্বরদীর আলহাজ টেক্সটাইল মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হককে স্কুলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুতির দাবিতে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেছে।

সাময়িক বরখাস্ত ওই শিক্ষক স্কুল পরিচালনা কমিটির অনুমতি না নিয়ে স্কুলে গিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন ও অফিস খুলে চেয়ারে বসেন। বিষয়টি জানাজানি হলে স্কুলের শিক্ষার্থীরা বুধবার সকাল হতে বিক্ষোভে শুরু করে।

এসময় শিক্ষার্থী, পরিচালনা কমিটির সদস্য ও এলাকাবাসী মোজাম্মেল হককে স্কুলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা এবং চাকুরিচ্যুতির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভকারীরা স্কুলের সামনের আইকে রোডে টায়ার জ্বালিয়ে ও কলাগাছ ফেলে প্রায় এক ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখে।

খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

মোজাম্মেল হক শিক্ষার্থীদের প্রতিশ্রুতি দেন যে, অব্যাহতিপত্র প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তিনি আর স্কুলে পা দিবেন না।

স্কুলের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ।

এ ঘটনায় দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা আফিসের অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার আরিফুল ইসলাম জরুরি বৈঠকে বসেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সেলিম আক্তার ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরিফুল আলম ডিলু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তকে অবজ্ঞা করে মোজাম্মেল হক অন্যায় করেছেন।

এ বছরের ২৫ মে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনে এক ছাত্রী। ছাত্রীটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। ছাত্রীটি নিজে বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় যৌন হয়রানির মামলা দায়ের করে (মামলা নং-৭৬, তাং-২৮/০৫/২০১৯) ।

১৯ জুন স্কুল পরিচালনা কমিটির এক সভায় মোজাম্মেলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। মামলার পর হতে মোজাম্মেল পালিয়ে ঢাকা চলে যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ তাকে আটক করে পাবনা কারাগারে পাঠায়।

১৮ আগস্ট মোজাম্মেল জামিনে মুক্ত হন। ঘটনার দিন কমিটির বিনা অনুমতিতে তিনি স্কুলে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন এবং অফিসে বসলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.