ঈশ্বরদীতে নারীর আত্মহত্যা, স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে প্ররোচনার অভিযোগ

স্বপন কুমার কুন্ডু, ঈশ্বরদী (পাবনা): ঈশ্বরদীতে শায়লা আক্তার সুইটি (১৯) নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির অত্যাচারে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন বলে শায়লার পরিবার অভিযোগ করেছে।

শায়লা দাশুড়িয়া হাটপাড়া এলাকার আবির হোসেনের স্ত্রী।

মঙ্গলবার গভীর রাতে শায়লা মারা যায়। এ ঘটনায় শায়লার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ শায়লার স্বামী আবির হোসেন ও শাশুড়ি রিফা খাতুনকে আটক করেছে। তবে শ্বশুর পলাতক।

শায়লার বাবা সবুজ মিয়া থানায় লিখিত অভিযোগে দাবি করেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করায় বিপর্যস্ত হয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়।

আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে শায়লার স্বামী আবির, শ্বশুর নান্নু সরদার ও শাশুড়ি রিফা খাতুনকে আসামি করে সবুজ মিয়া ঈশ্বরদী থানায় মামলা করেছেন।

এ বছরের ১১ জানুয়ারি শায়লা ও আবিরের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে শায়লা গত ১৯ জুলাই আবিরের দাশুড়িয়ার বাড়িতে আসে। বিয়ের সময় মেয়েকে সাত ভরি স্বর্ণালংকার দেয়া হয়। শায়লার বাবার অভিযোগ- শায়লাকে আবির ও তার পরিবারের লোকজন নির্যাতন করত। মোবাইল ফোনে বিষয়টি শায়লা তাদের জানিয়েছিল।

৩ সেপ্টেম্বর রাতে একটি মোবাইল ফোন হতে তাদের জানানো হয় যে, শায়লা মারা গেছে। তার মৃতদেহ পাবনা হাসপাতালে রয়েছে। তারা দাশুড়িয়া গেলে জানতে পারেন যে, শায়লা বাথরুমের টাওয়াল হ্যাঙ্গারের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

পুলিশ জানায়, অচেতন অবস্থায় শায়লাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঈশ্বরদী থানার ওসি (তদন্ত) অরবিন্দু সরকার জানান, আবির ও রিফা খাতুনকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.