হামলায় আহত ঈশ্বরদী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি

স্বপন কুমার কুন্ডু, ঈশ্বরদী (পাবনা): যুবলীগ কর্মীদের হামলায় ঈশ্বরদী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম গোলবার আহত হয়েছেন।

বুধবার সকাল ১১ টায় ঈশ্বরদী পৌর মার্কেটের সামনে সবজি বাজারে এ হামলা হয়।

গোলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার সাথে সম্পৃক্তরা স্থানীয় যুবলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত হলেও উপজেলা ও পৌর যুবলীগ নেতারা তাদের যুবলীগের কর্মী নয় বলে দাবি করেছেন।

আহত গোলবার হোসেনের ছেলে সনি জানান, পৌর মার্কেটের সামনে দৈনিক বাজারের ইজারাদার ও বাজার সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে চাঁদা দাবির বিষয় নিয়ে সকালে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তাঁর বাবাকে লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। হামলায় স্থানীয় আলমগীর হোসেন ও শফিকুল জড়িত বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, এরা যুবলীগের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেয়, তবে বর্তমানে কোনো কমিটিতে নেই। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।

অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন ও শফিকুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা চাঁদাবাজি ও হামলার সাথে জড়িত থাকার ঘটনা অস্বীকার করেন। তাঁদের ভাষ্য, সকালে কাঁচাবাজারে সবজি কেনার জন্য গিয়েছিলাম। পৌরসভার টাউন হলের পুরাতন ভবন আমরা টেন্ডারে ক্রয় করি। এতে গোলবার হোসেনও অংশীদার ছিলেন। ভবনের সকল স্থাপনা ভেঙে নেয়া হলেও জেনারেটর রাখার রূমটি বাদ ছিল। এই রূমের জানালা-দরজাসহ ভালো ভালো জিনিস গোলবার নিয়ে যান। সকালে এলাকার কয়েকজন ছেলে ইট ভাঙার সময় ওই ছেলেদের সাথে গোলবারের সাথে কথা কাটাকাটি এবং এক পর্যায়ে চড়-থাপ্পড়ের ঘটনা ঘটে। তাঁরা কেউই এই ঘটনার সাথে জড়িত নন।

আলমগীর পৌর যুবলীগের সাবেক কমিটির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এবং শফিকুল ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন বলে জানিয়েছেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শিরহান শরীফ তমাল হামলার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, য্বুবলীগের নাম ভাঙিয়ে যারা এসব অপকর্ম করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরা যুবলীগের কোনো কমিটিতে নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।

পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছাহক আলী মালিথা জানান, গোলবার একজন দক্ষ ও বিচক্ষণ আওয়ামী লীগ নেতা। সবজি বাজারে চাঁদাবাজির ঘটনা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে নামধারী কিছু যুবলীগের কর্মী মারধর করবে, এটা মেনে নেয়া যায় না। এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগেও শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.