বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রী ধরে রাখতে হবে: ডেপুটি স্পিকার

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেছেন, বাংলাদেশভারতের মৈত্রী প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে রাখতে হবে। প্রয়োজনেঅপ্রয়োজনে আমাদের বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে হবে।

বৃহস্পতিবার ( ডিসেম্বর) রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা বলেন।

রাজধানীর ঢাকা গ্যালারিতে বাংলাদেশভারত মৈত্রী দিবস উপলক্ষ্যে মিট দ্য সোসাইটির আয়োজন করে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন ডেপুটি স্পিকার।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, বাংলাদেশভারত মৈত্রী দিবসের আলোচনায় আজ ইতিহাস নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আসলে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা একেকজন একেকভাবে অবতীর্ণ হয়েছিলাম। যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তও হয়েছিলাম।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্রজীবনে কলকাতায় ছিলেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় লালিত ছিলেন। তিনি জাতিকে সুসংগঠিত করেছিলেন। মার্চের আগেই জাতিকে প্রশিক্ষিত করেছিলেন। তিনি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। সবার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় আমরা স্বাধীনতা লাভ করেছি।

শামসুল হক টুকু বলেন, ডিসেম্বর ইন্দিরা সরকার বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। আর তখন থেকেই পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর চূড়ান্ত আক্রমণ শুরু হয়। আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের চ্যালেঞ্জ আসবে, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশভারতকে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এখনো মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির উপস্থিতি টের পাই। মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে, ভারতের বিরুদ্ধে তখনও এই শক্তি ছিল, এখনো আছে।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ৫১ বছর আগে ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভারত। সেটা ছিল বন্ধুত্বের শুভসূচনা। এখন আমাদের সম্পর্ক বহুমুখী। এই সম্পর্কে ভাবাবেগ, ইতিহাস, সংস্কৃতি জড়িয়ে আছে। দিনে দিনে আমাদের দুই দেশের সোসাইটির বন্ধুত্ব শক্তিশালী হচ্ছে। আর সে কারণেই এখন বাংলাদেশ ভারত দুই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।

ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য অধ্যাপক . পবিত্র সরকার বলেন, যুদ্ধ বিপ্লবের স্মৃতি রক্ষা করা মুশকিল। তবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে। আমি এদেশে এলে ভারতের প্রতি মানুষের ভালোবাসা টের পাই। বেশির ভাগ মানুষ ভালোবাসা বহন করছে। তারা দুই দেশের বন্ধুত্বের স্মৃতি বহন করছে। আশা করি আগামীতেও একসাথে দুই দেশ এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক হারুন রশীদ, কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ জহির, মুসা সাদিক, অধ্যাপক কামরুল আহসান খান, ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় সদস্য সচিব মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.