গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত হামলায় শুক্রবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১শ ২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৩শ১৮ জন। এ নিয়ে গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২২ হাজার ৪শ ছাড়াল। ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ তুলে সাউথ আফ্রিকার দায়ের করা মামলার শুনানির তারিখ ১১ ও ১২ই জানুয়ারি ঘোষণা করেছে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধের তিনমাস পূর্ণ মাস হয়েছে। গত তিনমাসে গাজাজুড়ে ৬৫ হাজার টন বিস্ফোরক ছুঁড়েছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় ফেলা যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক বোমার ওজন ও শক্তির চেয়ে তিন গুণ বেশি। গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরাইল গাজায় আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ কমপক্ষে ৯ ধরনের বোমা ছুঁড়েছে। যার মধ্যে রয়েছে শরীর ঝলসে দেওয়া ফসফরাস বোমা।
এর আগে, বেসামরিক নাগরিকদের জন্য নিরাপদ অঞ্চল ঘোষণা করা দক্ষিণ গাজায়ও বোমা হামলা চলবে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। প্যালেস্টাইনের বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরাইলের সর্বশেষ হামলায় দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এবং রাফাহতে কমপক্ষে ৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গাজায় অভিযানরত ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে সাউথ আফ্রিকার দায়ের করা মামলার শুনানির তারিখ ১১ ও ১২ই জানুয়ারি ঘোষণা করেছেন ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস-আইসিজে। আইসিজেতে ইসরাইলকে অভিযুক্ত করে গণহত্যা মামলা দায়ের করার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর সা¤প্রতিক অভিযানে কোনো গণহত্যা হয়নি বলে মনে করে তারা।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরাইলি বিমান হামলায় হামাসের উপপ্রধান সালেহ আরৌরি নিহত হওয়ার পর ইসরাইলকে হুমকি দিয়েছেন লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। তিনি বলেছেন, আরৌরির মৃত্যু একটি ভয়ঙ্কর অপরাধ যা নিয়ে তারা চুপ থাকবেন না।