রেফিউজি এন্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ (বুধবার) বিকাল ৩:০০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। সংগঠনটি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ হতে আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসনের গতি- প্রকৃতি ২০২৩: অর্জন এবং চ্যালেঞ্জ শীর্ষক গবেষণাভিত্তিক বার্ষিক প্রতিবেদন এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করে। মূল প্রতিবেদন সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন সংগঠনের চেয়ার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তাসনিম সিদ্দিকী। জনাব মো: সেলিম রেজা, সার্বক্ষণিক সদস্য, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন উক্ত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএমইটি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট ১৩,০৫,৪৫৩ জন বাংলাদেশী কর্মী কাজের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসন করেছেন। যা গত বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। ২০২৩ সালে আউটপাস নিয়ে ফিরে এসেছেন ৮৬,৬২১ (৮৩৭১৯ জন পুরুষ, ২৯০২ জন নারী) অভিবাসী কর্মী ।
২০২৩ সালে মোট ৭৬,৫১৯ জন নারী কর্মী কাজের জন্য বিদেশে গেছেন। ২০২২ সালে বিদেশগামী কর্মীর সংখ্যা ছিল ১,০৫,৪৬৬। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, ২০২২ সালের তুলনায় নারী অভিবাসন প্রবাহ এই বছর ২৭.৪৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এ বছরে মোট আন্তর্জাতিক অভিবাসনের ৫.৮৬ শতাংশ হলেন নারী কর্মী যা গতবছর ছিলো ৯.৩ শতাংশ। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে আন্তর্জাতিক অভিবাসনের ক্ষেত্রেও নারী অভিবাসন ৩.৪৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এ বছরে রেমিটেন্স এসেছে ২১.৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের তুলনায় ২০২৩ সালে রেমিটেন্স বেড়েছে ২.৮৮ শতাংশ। তবে যে পরিমান বাংলাদেশী শ্রমিক অভিবাসন করেছেন সে পরিমানে রেমিটেন্স বাড়েনি। এ বছর অভিবাসন বেড়েছে ১৩ শতাংশ আর রেমিটেন্স বেড়েছে ২.৮৮ শতাংশ।
২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরনকারী দেশ ছিলো সৌদি আরব যা এ বছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারী দেশে নেমে এসেছে। সৌদি আরব থেকে রেমিটেন্স এসেছে ৩২.৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, ১৪.৯৭ শতাংশ)। গত বছরের তুলনায় সোদি আরব থেকে রেমিটেন্স কমেছে প্রায় ৩.৯ শতাংশ।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনের সুপারিশমালায় বলা হয়, ২০২৫-২০৩৫ সালকে অভিবাসন দশক ঘোষণা করা; জাতিসংঘ ঘোষিত ১৮ ডিসেম্বরকে অভিবাসী দিবস হিসেবে পালন করা; রাজনৈতিক দলগুলোর ইসতেহার অনুযায়ী অভিবাসন খাতে বরাদ্দ রাখা; অনলাইনে অভিযোগের ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা; আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসনকে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জলবায়ু অভিযোজনের পথ হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের জন্য জলবায়ু বিষয়ক ফান্ড ও বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা রাখা; ব্যাংকিং ব্যবস্থায় অভিবাসীদের আস্থা ও রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টিসহ গণমাধ্যমে প্রচারণা বৃদ্ধি করা