জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক সেমিনার ২৭ মার্চ ২০২৪ বুধবার ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. শামসুল আলম, সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক (অনু. প্রশি.) ড. মো. মারুফ নাওয়াজ।
সেমিনারের মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপক প্রফেসর ড. শামসুল আলম তাঁর বক্তব্যে বলেন, কোভিড-১৯ সৃষ্ট অর্থনৈতিক অচলাবস্থা অনেকাংশে কাটিয়ে উঠলেও অর্থনীতির চাকা পূর্ণ পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। এই সংকটপূর্ণ সময় অর্থনৈতিক বিকাশের মাধ্যমে উৎপাদন শক্তির ক্রমবৃদ্ধি সাধন এবং জনগণের জীবনযাত্রার গুণগত মানের দৃঢ় উন্নতি সাধনকল্পে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (জুলাই ২০২০- জুন ২০২৫) প্রণয়ন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের সুপারিশ ও নির্দেশনা রযেছে ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি অন্যতম উৎপাদনশীল খাত চরের কৃষি জমির প্রতি সরকারের আরও নজর দেয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে শুরু করেছিলেন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ দেশ গড়তে ২০২০-২০২৫ মেয়াদে প্রণয়ন করেন ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে ড. মো. মারুফ নাওয়াজ বলেন, প্রতিটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা থেকেই জিডিপি প্রবৃদ্ধিসহ সামগ্রিকভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন রয়েছে।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন এনআইএমসির উপপরিচালক (চলচ্চিত্র প্রশিক্ষণ) মো. সোহেল পারভেজ। এ সেমিনারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।