আব্দুল কুদ্দুস, সিরাজগঞ্জ: বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম পাড় থেকে বগুড়ার মির্জাপুর পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ শেষের দিকে।
এর মধ্যে হাটিকুমরুল পর্যন্ত সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। বগুড়ার মির্জাপুর পর্যন্ত সড়কের কাজ ঈদের আগেই শেষ করার আশা করছেন প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোও সংস্কার করা হয়েছে।
ঈদে যানবাহনের বাড়তি চাপেও এ সড়কে চলাচল নির্বিঘ্ন থাকবে বলে আশা করছেন তারা। এতে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে।
বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ১৬ জেলার যানবাহন চলাচল করে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়ক দিয়ে। ঈদে অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের ফলে এ মহাসড়কে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়।
স্বাভাবিক সময়ে দিনে ২০ থেকে ২৫ হাজার যানবাহন চলাচল করলেও ঈদে এ সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। ফলে যানজটে পড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
সাসেক-২ (সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কোঅপারেশন) প্রকল্পের আওতায় এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত এ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা যায়, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একাধিক সেতু, কালভার্ট, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস নির্মাণ করা হয়েছে। মহাসড়কের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নলকা সেতু, ফ্লাইওভার এবং কড্ডা ফ্লাইওভার খুলে দেওয়া হয়েছে। রাতে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ বেড়ে গেলেও মহাসড়কে আগের মতো আর যানজটের সৃষ্টি হয় না।
নবনির্মিত নলকা সেতুর উত্তরের লেন খুলে দেওয়ায় যান চলাচল ঝুঁকি মুক্ত হয়েছে। আগে এ এলাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটতো।
প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঈদযাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের যাতায়াতে যেন বিঘ্ন না ঘটে এ জন্য হাটিকুমরুল মোড়ে এক মাস আগেই কংক্রিটের রাস্তা মেরামত করে দেওয়া হয়েছে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ওযাদুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত ছোট-বড় ২০টি ঝুঁকিপুর্ণ স্থান ছিল । সাসেক-২ প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে প্রায় সবগুলো স্থান সংস্কার করা হয়েছে। এবারের ঈদযাত্রায় মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে না বলে জানান তিনি।
সিরাজগঞ্জ ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) আবু জাফর বলেন, ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে যানজট মুক্ত রাখতে জেলা পুলিশের সাথে মিটিং হয়েছে। মহাসড়কে আমাদের ১৫ থেকে ১৮টি মোবাইল টিম থাকবে।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মন্ডল বলেন, এবছর মাহাসড়কের অবস্থা খুবই ভালো। ঈদযাত্রায় মানুষের নিরাপদে যাতায়াত নিশ্চিত করতে মহাসড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ৭৫০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হবে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ২৪ ঘন্টা পুলিশ থাকবে। সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম থাকবে।