কোনো অপশক্তি যাতে বাঙালির অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক চেতনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে বাঙালির সবচেয়ে বড় ও সার্বজনীন উৎসব বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে তারা বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মাঝে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সংস্কৃতিকর্মীরা সব সময় সক্রিয় থাকবেন।
‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’- এই প্রতিপাদ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পয়লা বৈশাখ বিকেলে এ আয়োজন উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক থিয়েটার ইনস্টিটিউট- আইটিআই এর সাম্মানিক বৈশ্বিক সভাপতি নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি লেখক-গবেষক গোলাম কুদ্দুছ। বক্তৃতা করেন নাট্যজন মামুনুর রশিদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী ও সহ-সাধারণ সম্পাদক আহমেদ গিয়াস। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল হক আজাদ।
আয়োজনে ছিল একক ও দলীয় গান, নাচ ও আবৃত্তি এবং পথনাটক।
দলীয় সংগীত পরিবেশন করে: বহ্নিশিখা ও সুরতাল। নাচ পরিবেশন করেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী মুনমুন আহমেদ এবং স্পন্দন ও ধৃতি নর্তনালয়।
পথনাটক মঞ্চায়ন করে: নাটনন্দনও রূপ আতরের পঙ্গপালা। বাউল গান পরিবেশন করেন: লাভলী দেব, মমতা দাসী, রহিসা চৌধুরী, দেলোয়ার হোসেন, সোনিয়া আঞ্জার ও কোহিনুর আক্তার গোলাপী। একক সংগীত পরিবেশন করেন: রথীন্দ্রনাথ রায়, ফাহিম হোসেন চৌধুরী, আবু বকর সিদ্দিক, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, অনিমা রায়, কাজী মিজানুর রহমান, অলোক দাশগুপ্ত, আরিফ রহমান, আবিদা রহমান সেতু, এস. এস মেজবাহ ও আসিফ ইকবাল সৌরভ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন: বেলায়েত হোসেন, রফিকুল ইসলাম, গোলাম সারোয়ার, এনামুল হক বাবু, ইকবাল খোরশেদ, রেজীনা ওয়ালী লীনা, মাহিদুল ইসলাম এবং সুপ্রভা সেবতী।