মুক্ত সাংবাদিকতার চর্চা পরিবেশগত সঙ্কট মোকাবেলায় ভূমিকা রাখবে: বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের আলোচনাসভায় বক্তারা

নিজস্ব প্রতিনিধি: পরিবেশগত সংকট মোকাবেলায় সংবাদমাধ্যমগুলোর আরো শক্তিশালী ভূমিকা রাখার ওপর জোর দিয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিকরা। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আজ রাজধানীতে গণমাধ্যম ও যোগাযোগ উন্নয়ন বিষয়ক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমষ্টি আয়োজিত আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ুগত প্রবণতা, সেগুলোর কারণ ও প্রভাব নিয়ে পদ্ধতিগত উপায়ে বিশ্লেষণধর্মী এবং অনুসন্ধানী রিপোর্ট করার মাধ্যমে তারা পরিবেশের ক্ষতি মোকাবেলায় আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের ওপর পরিবেশ-বিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রভাব তুলে ধরা ও দায়ীদের চিহ্নিত করা, দায়িত্বশীলদের তৎপরতা বাড়ানোর মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ বাড়বে।

বক্তারা পরিবেশ ও জলবায়ুগত বিপর্যয়ের মতো বিষয়গুলোর সঙ্গে মুক্ত সাংবাদিকতার সম্পর্কের দিকটি তুলে ধরে বলেন, মুক্ত সাংবাদিকতার পরিপূর্ণ চর্চা থাকলে পরিবেশ ও জলবায়ুগত অনেক বিষয়ে সাংবাদিকরা আরো ভূমিকা রাখতে পারবেন। এজন্য সহায়ক আইনি কাঠামো, নীতি ও প্রাতিষ্ঠানিক চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পরিবেশের বিষয়গুলো গণমাধ্যমে তুলে ধরা একটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। বিজ্ঞানভিত্তিক তথ্যের অভাব, পরিবেশ-বিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্তদের চাপ বা হুমকি, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়গুলো এ ধরনের সাংবাদিকতার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আবার এরকম বিশেষায়িত বিষয়বস্তুর ওপর সাংবাদিকদের প্রস্তুতির ঘাটতিও এ ধরনের রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক শাহনাজ বেগম, নজরুল ইসলাম মিঠু, জাহিদ নেওয়াজ খান, কাওসার সোহেলি, সালমা ইয়াসমিন, শাহনাজ পারভীন এলিস, কামরুন্নাহার, বোরহানুল হক, তানিয়া রহমান, আতিকা রহমান, শাহনাজ শারমীনসহ অন্যরা।

সমষ্টি’র নির্বাহী পরিচালক ও চ্যানেল আই-এর জেষ্ঠ বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুর জামান এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪-এর প্রতিপাদ্যের বিভিন্ন দিক এবং ২০২২ সালে সমষ্টি আয়োজিত প্রেস ফ্রিডম ক্যাম্পে প্রণীত ঢাকা ঘোষণার সার-সংক্ষেপ তুলে ধরেন সমষ্টি’র গবেষণা ও যোগাযোগ পরিচালক রেজাউল হক। ঢাকা ঘোষণায় স্বাধীন সাংবাদিকতাকে আরো সুরক্ষিত করা ও সহায়ক পরিবেশ তৈরির জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হয় এমন আইন, নীতি, বিধি-বিধান ও অন্যান্য উপাদান বিলুপ্ত করতে এবং গণমাধ্যমের বিভিন্ন দিক নিয়ে আইনপ্রণেতা ও নীতি-নির্ধারণী পক্ষ, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিক সংগঠনসহ বিভিন্ন অংশীজনদের জন্য সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.