ঘূর্ণিঝড় রেমাল তাণ্ডব

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজধানীসহ প্রায় সারাদেশে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আজ সোমবার ভোর থেকে এ অবস্থা শুরু হয়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝোড়ো হাওয়া ও বর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল তাণ্ডবের পুরো ক্ষয়ক্ষতির চিত্র পেতে কিছুটা সময় লাগবে এবং এখন পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মুহিববুর রহমান।

দেশের ৮ বিভাগেই ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে দেশের তিন বিভাগ ও তিন জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার আভাস দিয়েছে সংস্থাটি।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে গতকাল রোববার বিকেল ও সন্ধ্যা থেকে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ভোলা, পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। মোবাইলফোনের চার্জ হারিয়ে অনেকে হয়ে পড়েছেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সূত্রমতে, রোববার ২৬ মে সন্ধ্যার দিকেই ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত শুরু করে। পরে রাত আটটার দিকে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণপশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে।
ঘূর্ণিঝড়টির আকার প্রায় ৪০০ কিলোমিটার। এর অগ্রভাগ সন্ধ্যা ছয়টার দিকেই খুলনা উপকূলের কাছে সুন্দরবনের দিকে প্রবেশ করে। এর প্রভাবে উপকূলে ব্যাপক বৃষ্টি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.