ইসরায়েলের নৌবাহিনী শুক্রবার (অক্টোবর ৩) গাজামুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সবশেষ জাহাজটিও আটকে দিয়েছে। কোনো জাহাজকে গাজার জলসীমায় ঢুকতে দেয়নি বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
গাজাবাসীদের জন্য মানবিক এ অভিযানে অংশগ্রহণকারীদের এখন পর্যন্ত ৪৫০ জনকে আটক করেছে ইসরায়েল।
আটকদের দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ চলছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, ম্যারিনেট নামের শেষ জাহাজটিকে উপকূল থেকে প্রায় ৪২.৫ নটিক্যাল মাইল দূরে আটক করে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের পরে সংশ্লিষ্ট দেশের কনস্যুলারের সহায়তার দেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ফ্লোটিলা আয়োজকরা দাবি করেছেন যে মোট ৪৪৩–৪৫০ জন অংশগ্রহণকারীকে আটক করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারদের মধ্যে সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ আইনপ্রণেতা, আইনজীবী ও বিভিন্ন দেশের কর্মীরা আছেন।
ফ্লোটিলার ট্র্যাকার ও অংশগ্রহণকারীদের কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে যে মিকেনো নামের একটি জাহাজ গাজার নিকটবর্তী জলসীমায় প্রবেশ করে। তবে এর পর থেকে এটি ট্র্যাকিং সংকেত হারায়। ইসরায়েল এই দাবিটি অস্বীকার করে বলেছে, তাদের নৌবাহিনী কোনো জাহাজকে গাজার জলসীমায় ঢুকতে দেয়নি।
নৌবহরে প্রায় ৪২টি বেসামরিক নৌযান এবং প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী ছিল।
গ্লোবাল সমুদ ফ্লোটিলা রুখে দেওয়ার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া এবং প্রতিবাদ হয়েছে। তুরস্ক, স্পেনসহ কয়েকটি সরকার ইসরায়েলকে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো আটককৃতদের অবিলম্বে নিরাপত্তা ও মুক্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। গাজায় শান্তিপূর্ণভাবে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার দাবিতে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে সমর্থকরা বিক্ষোভ করেছেন।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, এপি, আল-জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান, নিউজউইক