কিশোরগঞ্জ থেকে মোস্তফা কামাল: কিশোরগঞ্জে যাত্রীবাহী নৈশকোচে বুধবার রাতে দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া পেট্রলবোমায় নারীসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারাত্মক দগ্ধ নেত্রকোনার মদন উপজেলার কদমশ্রী গ্রামের শ্রমজীবী আব্দুল মালেক (৪৫) ও সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার টুকেরগাঁও গ্রামের আব্দুল বারিকের স্ত্রী জাহেদা আক্তারকে (৪৫) ঢাকা মেডিকেলের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
অন্য আহতরা হলেন কিশোরগঞ্জ শহরের মনিপুরঘাট এলাকার সত্যেন্দ্র চন্দ্র সরকারের ছেলে নারায়ণ চন্দ্র সরকার (৩০), সদর উপজেলার যশোদল এলাকার অর্জুন চন্দ্র সূত্রধরের ছেলে ঝন্টু চন্দ্র সূত্রধর (৩০), রশিদাবাদ এলাকার হাবিবুল্লাহর ছেলে মো. মোস্তফা (৩৮), লিডফার্মা ওষুধ কোম্পানির দুই প্রতিনিধি তাড়াইল উপজেলার কোনাভাওয়াল গ্রামের বাপ্পী খান (৪০) এবং সিলেট ওসমানীনগরের চরিত্র কুমার চন্দের ছেলে প্রতাপ রঞ্জন চন্দ (২৬), কীর্তন দলের সদস্য যশোহর মনিরামপুরের খোকন বৈরাগির মেয়ে পূর্ণিমা (১৭), বরিশালের শিবপুরের সুনীল বিশ্বাসের মেয়ে মনিকা বিশ্বাস (১২), বরিশাল শিবপুরের নিমাই রায়ের স্ত্রী দীপু রায় (২০), গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার নিমচাঁদের মেয়ে উষা রায় (১৬), মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার চামটু পালের দুই ছেলে ভগিরথ পাল (২৪) ও বিপ্লব পাল (২০), কুলাউড়ার দুই সহোদর রুমেল (২২) ও বিকাশ (২০), মৌলভীবাজারের রিপা পাল (২০) এবং বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিবপুর গ্রামের নগেন রায়ের ছেলে নিমাই রায় (৩০)।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান জানান, ঢাকায় পাঠানো আব্দুল মালেকের ২০ ভাগ এবং জাহেদার ১০ ভাগ পুড়ে গেছে।
পেট্রলবোমার আগুনে বাসের ছাদে খাচায় থাকা ১ হাজার ৭০০ মুরগির বাচ্চা আগুনে পুড়ে মারা গেছে। ১০০ কেইজ ডিমও বিনষ্ট হয়ে গেছে। যাত্রীরা জানান, শাহ সুলতান পরিবহনের বাসটি নেত্রকোনার মদন থেকে বুধবার রাতে যাত্রী নিয়ে কিশোরগঞ্জের ওপর দিয়ে সিলেটের ভোলাগঞ্জ যাচ্ছিল। বাসে কীর্তনের দল এবং শ্রমজীবীসহ আনুমানিক ৩০ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে।
বাসটি রাত ১১টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার হাইওয়ের সুলতানপুর এলাকায় পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা ছুঁড়ে মারে। এতে বাসে আগুন ধরে গেলে ৬ জন দগ্ধ হয়। অন্যরা জানালার কাঁচ ভেঙ্গে প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে শহর থেকে দমকল বাহিনী গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় আজ দুপুর পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।