ফলোআপ: সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ডাকাতদের শনাক্তের চেষ্টা, বিস্ফোরক নিরীক্ষা

দিনাজপুর থেকে রতন সিং: দিনাজপুর শহরে সোনার দোকান জড়োয়া ঘরে ডাকাতির সময় বিস্ফোরণ ঘটনার স্থল র‌্যাবের বোমা বিশেষজ্ঞ দল তদন্ত করেছে এবং উদ্ধারকৃত বিস্ফোরকের উপাদান নিরীক্ষা করেছেন। শনিবার দুপুরে র‌্যাব-১৩ রংপুর ক্যাম্প থেকে বোমা বিশেষজ্ঞ অভিযান দল কোতয়ালী থানায় এসে উদ্ধারকৃত ১২টি বোমা ও ৫টি অবিস্ফোরিত বোমার উপকরণ ও তার ক্ষমতার বিষয়ে নিরীক্ষা করেন।

র‌্যাবের সূত্রটি জানায়, বোমাগুলো বিস্ফোরকদ্রব্য দিয়ে হাতে বানানো হয়েছে। তবে এই বোমা দিয়ে ধ্বংসাত্মক কাজ করা সম্ভব। এরপর ঘটনাস্থল শহরের চকবাজার জড়োয়া ঘর ও হোটেল মৃগয়ার সম্মুখে বোমা বিস্ফোরণের স্থান পরিদর্শন করেন।

এদিকে এই ঘটনায় জড়োয়া ঘরের পক্ষ থেকে ম্যানেজার প্রশান্ত কুমার রায় বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় ডাকাতি ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯/১০ জন মুখোশধারী প্যান্ট-শাট পরিহিত ডাকাত দলের সদস্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তারা গত ২ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় মাইক্রোবাস থেকে নেমে পিস্তল ও চাপাতিসহ সোনার দোকানে প্রবেশ করে। দোকানের সেলসম্যান সুকুমার রঞ্জন রায়, গণেশ চন্দ্র রায়কে মারধর করে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের ১০০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। স্বর্ণালংকারের গায়ে জড়োয়া ঘরের লোগো স্থাপন করা ছিল।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার এসআই শ্যামল চন্দ্র বর্মন জানান, তিনি ডাকাতির ঘটনার ১৭টি ককটেল ও ১টি চাপাতি উদ্ধার করেছেন। হোটেল মৃগয়ার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে ডাকাত দলের সদস্যদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।