হাকিম বাবুল, শেরপুর: শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী ধানশাইল ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার হওয়া দুই যুবক নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসারউল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত জঙ্গি সাজেদুল ইসলাম ওরফে সাদ্দামের বাড়ি থেকে পুলিশ বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জমাদি, বেশ কিছু জিহাদি বই, জিহাদি আহ্বানের ভিডিও চিত্রের সিডি, মোবাইল সেট ও একটি ছোরা উদ্ধার করেছে। অপরজন সাদ্দামের সহযোগী আমিনুল ইসলাম। এবিটির এই দুই সদস্যকে (১৪ আগষ্ট) রবিবার ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবি’র ওসি মো. মাহফুজার রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দুই এবিটি সদস্যের বিরুদ্ধে ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সজীব খান বাদী হয়ে সন্ত্রাস দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তাদেরকে রিমান্ড আবেদনসহ বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইগাতীর ধানশাইল এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে নিষিদ্ধ ঘোষিত আনছারুল্লাহ বাংলা টিম এর অন্যতম সদস্য সাজেদুল ইসলাম ওরফে সাদ্দামকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তারই দেওয়া তথ্যমতে অপর সহযোগী আমিনুল ইলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমিনুল শেরপুর সরকারী কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
সাদ্দাম গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের মুন্সীপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে ছিল। সে টঙ্গি বিমানবন্দর এলাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ নিয়েছিলো। সে নিজেকে ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার আসামি শহীদের শিষ্য বলে দাবি করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শেরপুরে আসার গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত সাদ্দামের এক বোন জামাই জেমএমবি সদস্য বর্তমানে ময়মনসিংহ কারাগারে রয়েছে এবং তার ওই বোনজামাই জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই-এর খাদেম হিসেবে কাজ করতো বলেও জানা যায়।
শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন শিকদার বলেন, আনছারুল্লাহ বাংলা টিমের গ্রেফতারকৃত দুই সদস্যকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা নাশকতা সৃষ্টির গোপন কোন পরিকল্পনা নিয়েছিলো কি না তা তদন্তের পর জানা যাবে।