রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এর সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সমন্বয়ক নাহিদ জানান ড.ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হচ্ছেন।
বঙ্গভবনে বৈঠক শেষে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা ১০ থেকে ১৫ জনের প্রাথমিক তালিকা দিয়েছি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে অন্তবর্তীকালীন সরকারের তালিকা পাওয়া যাবে এবং জাতি জানতে পারবে। ছাত্রজনতার সমর্থন ব্যতীত কাউকে অন্তর্বতীকালীন সরকারে রাখা হবে না বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
নাহিদ আলম বলেন, বুধবার ড. ইউনূস দেশে এসে পৌঁছালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যান্য উপদেষ্টাদের নাম চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি বলেন, পরিকল্পিত নাশকতা করে আন্দোলনকে নস্যাৎ করার চেষ্টা হচ্ছে। সকলকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘বঙ্গভবনে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের নিশ্চয়তা বঙ্গভবন থেকে আমরা পেয়েছি। সরকার হিসেবে প্রধান ইউনূসকে আমরা প্রস্তাব করেছিলাম সেটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক যে তালিকা দিয়েছি তাতে নাগরিক সমাজসহ ছাত্র প্রতিনিধি আছে। নাগরিক সমাজ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটা চূড়ান্ত হবে।’
নাহিদ বলেন, ‘সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে সবাই ছাত্রদের সম্মান জানিয়েছে। জনতাকে আহ্বান করবো— অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে দ্রুত ঘোষণা করা হবে, জনগন যেন সেই আস্থা রাখে। আমাদেরকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ এবং সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পুনর্গঠন করে দায়িত্বে নিয়োজিত করা হবে। তার আগ পর্যন্ত আমাদের সচেতন থাকতে হবে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আমরা যে প্রতিশ্রুতি; একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেবো।’
মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বৈঠক করেন।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে কয়েক দফা বৈঠক শেষে রাত সাড়ে ১১টায় আলোচনা শেষ হয়। এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ জন সমন্বয়ক- মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, আবুবকর মজুমদার, নুসরাত তাবাসসুম, খান তালাত মাহমুদ রাফি, আরিফ সোহেল, মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, মাহফুজ আলম, নাজিফা জান্নাত, আবু সাদিক, ইভান তাহসির অংশ নেন।