প্রতিনিধি, নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়নের দুর্গম চরে মা ও মেয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার রাতে (২৬ অক্টোবর) দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকৃতরা হলেন-হাসান (৩৬) ও হারুন (৩২)। তারা একই ইউনিয়নের বাসিন্দা।
রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে ধর্ষণের শিকার হন তারা।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, নির্যাতনের শিকার ওই নারীর (৩৫) স্বামী চট্রগ্রামে গাড়ি চালান। একটি দুর্গম চরে ওই নারী তার এক তার তালাকপ্রাপ্তা মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়িতে থাকতেন। তার এক দূর সম্পর্কের দেবর প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এ নিয়ে স্থানীয় রাশেদ, সাইফুল, হাসান, হারুন, রাজু ও ইব্রাহিম তাদের মা-মেয়েকে সন্দেহ করতেন।
গত রোববার (২০ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে ছয় যুবক ভুক্তভোগী নারীর বাড়িতে ঢুকেন। একপর্যায়ে তারা ঘরের দরজা খুলে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা ওই নারীর দূর সম্পর্কের দেবরকে (২১) বেঁধে তাকে ও তার মেয়েকে (২০) ঘর থেকে বাইরে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ, যুবকদের মধ্যে তিনজন তাকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ির পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। অন্যরা তার মেয়েকে বসতঘরের পাশের রান্নাঘরের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে রাত তিনটা পর্যন্ত পালাক্রমে ওই যুবকেরা তাদের ধর্ষণ করে। যাওয়ার সময় টাকাপয়সাসহ ঘরের জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। নির্যাতিত নারী ও তার মেয়েকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।