গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং সমষ্টির পরিচালক মীর সাহিদুল আলমের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করেছেন সহকর্মী ও সুহৃদরা।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে সমষ্টি কার্যালয়ে স্মরণসভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সাবেক সচিব ও সমষ্টির চেয়ারপারসন আবু আলম মো. শহিদ খান।
তাঁর স্মৃতিচারণ করেন সমষ্টির নির্বাহী পরিচালক মীর মাসরুরুজ্জামান, ঢাকা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক রিয়াজ আহমদ, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের হেড অব ডিজিটাল জাহিদ নেওয়াজ খান, বাংলাভিশনের সিনিয়র নিউজ এডিটর সালমা ইয়াসমিন, উন্নয়নকর্মী রিয়াজ উদ্দিন খান, সমষ্টির রেজাউল হক, মুনাব্বির আহম, জাহিদুল হক খান, মো. শাহজাহান, সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বরশ্রুতির সূচনা আনজুমসহ অন্যরা। বক্তারা তাঁর ব্যক্তি ও কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
পরে তাঁর জন্য দোয়া পাঠ করা হয়।
মীর সাহিদুল আলম গণমাধ্যম ও যোগাযোগবিষয়ক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান সমষ্টির কর্মসূচি পরিচালক ছিলেন। অনলাইন পোর্টাল দেশের খবর-এর নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
২০২৪ সালের ১৭ জানুয়ারি সকাল ৯টায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিজ বাসায় মারা যান তিনি। ওই দিনই তাঁর নিজ বাড়ি নেত্রকোনার মুক্তারপুরে জানাজার পর তাঁকে দাফন করা হয়।
তিনি ২০২১ সাল থেকে মস্তিষ্কের ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
মীর সাহিদুল আলমের জন্ম ২ মার্চ ১৯৬৯ সালে নেত্রকোনায়। তাহেরা খাতুন ও মীর ফজলুল হক দম্পতির বড় সন্তান তিনি। তিনি নেত্রকোনার আঞ্জুমান স্কুল, ঢাকার তিতুমীর কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা করেন। কর্মজীবনে তিনি বাংলাবাজার পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) গবেষণাকর্মের সঙ্গে যুক্ত হন।
তিনি গণমাধ্যম বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ম্যাস-লাইন মিডিয়া সেন্টার (এমএমসি) পটুয়াখালী ও নোয়াখালী জেলার মিডিয়া সেন্টার প্রধান ছিলেন। ওই সময় তিনি এমএমসি প্রকাশিত সংবাদপত্র মেঠো বার্তা এবং লোক সংবাদ-এর নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে একই প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকতাবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যুক্ত হন।
তিনি ব্র্যাকের অ্যাডভোকেসি ও মানবাধিকার বিভাগ এবং মেরি স্টোপস-এ কাজ করেন। পরবর্তীতে তিনি সমষ্টির কর্মসূচি পরিচালক হিসেবে সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও গণমাধ্যম গবেষণাসহ নানাবিধ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
লেখক ও সম্পাদক হিসেবে সাংবাদিকতাসহ অন্যান্য প্রকাশনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মীর সাহিদুল আলম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো রিপোর্টিং: প্রসঙ্গ সুশাসন, তৃণমূল মানুষের তথ্য অধিকারের খবর, প্রান্তিক সাংবাদিকতার বয়ান, কৃষি সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম সহায়িকা: জলবায়ু অর্থায়ন, এবং নারী কৃষকদের অধিকার ও স্বীকৃতি। ইত্যাদি।