প্রতিনিধি, সিলেট: বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক মানুষের হৃদয়ের বন্ধনে গড়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টে বাংলাদেশ ও ইউএস আর্মির যৌথ প্রশিক্ষণ ‘টাইগার লাইটনিং’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমাদের দুই মহান দেশের সম্পর্ক গড়ে উঠছে একেকজন বাংলাদেশি ও আমেরিকান নাগরিকের মাধ্যমে—হাতে হাত ধরে, হৃদয়ে হৃদয় দিয়ে।”
তিনি আরও বলেন, “এই মহড়াটি দুই দেশের মধ্যে প্রতিশ্রুতিশীল সহযোগিতার প্রতীক, যা বঙ্গোপসাগর ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা, শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় আমাদের অভিন্ন লক্ষ্যকে তুলে ধরে। মার্কিন সেনারা বিশ্বে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের প্রশংসিত ও দক্ষ সেনাবাহিনীর সঙ্গে একত্রে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাচ্ছেন।”
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সবসময় জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী পাঠানো শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে রয়েছে এবং গুণগত মানে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। এসব মিশনে বর্তমানে ১ হাজার ৮০০ নারী সেনাসদস্য কাজ করছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”
‘টাইগার লাইটনিং’ প্রসঙ্গে তিনি জানান, এটি একটি ধারাবাহিক যৌথ মহড়া। বর্তমানে ‘টাইগার শার্ক’ মহড়া চলমান রয়েছে, যেখানে স্পেশাল ফোর্স ও নৌবাহিনী অংশ নিচ্ছে। আর বছরের শেষ দিকে বিমান বাহিনীর সঙ্গে ‘প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল’ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের ‘টাইগার লাইটনিং’ মহড়ায় অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ইউনিটের ১০০ জন সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা ন্যাশনাল গার্ডের ৬৬ জন সেনা সদস্য।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এএসএম রিদওয়ানুর রহমান।
সকালে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ব্রিগেডের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল হাসান। এরপর ‘অপারেশন টাইগার লাইটনিং’ প্রশিক্ষণের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়। অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ইউএস মেজর উইস্টিসেন ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর মাহমুদুল হাসান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন ফটোসেশনে অংশ নেন এবং পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।