বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ লেবার স্টাডিজ-বিলস মন্ডিয়াল এফএনভি-এর সহায়তায় সাংবাদিকদের জন্য তৈরী পোশাক খাতে হিউম্যান রাইটস ডিউ ডিলিডেন্স বিষয়ে দুই দিনব্যাপী একটি সক্ষমতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী আজ রাজধানীর হোটেল এশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। বিলস উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য নইমুল আহসান জুয়েল অধিবেশনের উদ্বোধন করেন। অধিবেশনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মনডিয়াল এফএনভির কনসালট্যান্ট মো. শাহিনুর রহমান, বাংলাদেশ লেবার রাইটস জার্নালিস্টস ফোরামের সভাপতি কাজী আব্দুল হান্নান, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের অফিস সম্পাদক জাকির হোসেন, সিনিয়র প্রশিক্ষক মো. মোতাহের হোসেন এবং বিলস-এর উপ-পরিচালক মো. ইউসুফ আল-মামুন।
উল্লেখ্য, এইচআরডিডি প্রক্রিয়ার জাতীয় প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য বিলস এই প্রশিক্ষণ আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে। বিভিন্ন উৎস থেকে এ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রিসোর্স টুলকিট এবং প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল তৈরি করা হয়েছে, যা তাদের রিপোর্টিং, উপসম্পাদকীয় এবং কলাম লেখার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে তৈরী পোশাক শিল্প বড় ভূমিকা রাখছে, তবে জার্মানী সহ ইউরোপীয় দেশগুলো সরবরাহ চেইনে মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে আইনী সুরক্ষা বৃদ্ধি করার কারণে এ শিল্পে শ্রমিকের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে ২০২৯ সালের পর থেকে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পের ক্রয় আদেশ হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং এ বিষয়ে সরকার, মালিক, শ্রমিক সহ গণমাধ্যমের এখন থেকেই সচেতন হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
নইমুল আহসান জুয়েল বলেন, বিলস এইচআরডিডি বিষয়ে সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে তারা তাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ বিষয়টি তুলে ধরতে পারে এবং এর ফলে শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। তিনি সরবরাহ শৃঙ্খলে মানবাধিকার রক্ষার জন্য সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন।
পোশাক শিল্পের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে শাহিনুর রহমান বলেন, তুলা চাষ থেকে শুরু করে ভোক্তাদের কাছে পণ্য সরবরাহ পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায়ে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে সময়মতো মজুরি প্রদান, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ এবং মাতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করা। সরবরাহ শৃঙ্খলে অধিকার লঙ্ঘন রোধে এইচআরডিডি ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এই শৃঙ্খলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে কারখানাগুলিকে অবশ্যই মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার লঙ্ঘনকারী কার্যকলাপ রোধ করতে হবে, যার ফলে নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিকদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অস্থিরতা এবং দ্বন্দ্ব হ্রাস হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।