এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: বাগেরহাটের রামপাল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ আট বছরেও কোন শিক্ষার্থী পায়নি। এ বছরের শুরুতে ভর্তির বিজ্ঞাপন দেওয়া হলেও কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থী না থাকলেও ১৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। তারা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন।
২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণ করা হয়। দেড় একর জমিতে নির্মিত হয়েছে পাঁচতলা একাডেমিক ভবন, চারতলা প্রশাসনিক ভবন ও সার্ভিস সেন্টার। কিন্তু দীর্ঘদিনেও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি।
প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, চলতি বছরের শুরুতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির আহ্বান জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বৃত্তি, ভাতা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ উল্লেখ থাকলেও শিক্ষার্থী মেলেনি। ওয়েবসাইটে লেখা রয়েছে: ভবন শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য উপযোগী নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানিয়েছেন, ভবন নির্মাণ শেষ না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়নি।
প্রতিষ্ঠানের ইংরেজি ইনস্ট্রাক্টর কাজী মনিরুজ্জামান জানান, কলেজ ভবনের কাজ শেষ হলে ২০২৬ সাল থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু করা হবে। এ বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে মহাপরিচালক আবুল খায়ের মো. আক্কাস আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অধ্যক্ষ আফিয়া আকতার বলেন, ভবনের কাজ শেষ হলে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে। বেতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা যেখানে পোস্টিং পাব, সেখানে দায়িত্ব পালন করব।” ভর্তি কার্যক্রম কবে শুরু হবে—এ বিষয়ে তিনি সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি।
প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে উল্লেখ আছে, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের ১০০ শতাংশ এবং ছাত্রদের ৭০ শতাংশ বার্ষিক তিন হাজার ৬০০ টাকা করে বৃত্তি পাবে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সব শিক্ষার্থীকে বার্ষিক এক হাজার ২০০ টাকা হারে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ভাতা দেওয়ার কথাও উল্লেখ আছে। এছাড়া বাধ্যতামূলক কম্পিউটার শিক্ষা ও ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তিতে ১৫ শতাংশ কোটা রাখার ঘোষণা রয়েছে।