সংবাদদাতা, বাগেরহাট: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় কর্মচারী মরিয়ম আক্তার মুনমুনকে হাত ধরে টানাটানি করেন সাংবাদিকরা।
মামলায় আসামি করা হয়েছে দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার প্রতিনিধি শামীম আহসান মল্লিক, দৈনিক জনকণ্ঠের প্রতিনিধি গণেশ পাল এবং দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি পলাশ শরীফকে। মামলার বাদী মুনমুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করণিক রেজোয়ান হোসেনের কন্যা।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে, “বাদীকে অসৎ উদ্দেশ্যে হাত ধরে টানাটানি ও শ্লীলতাহানি করেছে অভিযুক্তরা।”
তবে সাংবাদিকরা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন, এটি একটি সাজানো মামলা। তাদের ভাষ্য, হাসপাতালের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নানা অনিয়ম নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করায় প্রতিশোধমূলকভাবে এই মামলা করা হয়েছে।
সাংবাদিকরা দাবি করেন, ঘটনার দিন শুভরাজকাঠি গ্রামের এক নারীর অভিযোগ বিষয়ে বক্তব্য নিতে তারা হাসপাতালে যান। সেখানে রেজোয়ান হোসেন ও তার স্বজনরা সাংবাদিকদের ধাক্কা দিয়ে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেন এবং লাঞ্ছিত করেন। পরে সাংবাদিকরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুজাহিদুল ইসলামকে জানাতে গেলে তার কক্ষে গিয়েও তারা হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ।
ডা. মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “মুনমুনের সঙ্গে বারান্দায় কী ঘটেছে তা আমি দেখিনি। তবে আমার কক্ষে সাংবাদিকরা বসা থাকা অবস্থায় একপর্যায়ে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। পরে থানা পুলিশ ও সাংবাদিক নেতারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।”
এ ঘটনার পরদিন ২৩ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক গণেশ পাল বাদী হয়ে রেজোয়ান হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মারধর ও হেনস্তার অভিযোগে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, “শ্লীলতাহানির মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। অপরদিকে সাংবাদিকদের দায়ের করা মামলাটিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দুটি মামলাই তদন্তাধীন।”
স্থানীয়ভাবে এ ঘটনাটি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সাংবাদিকদের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলক। তবে পুলিশ বলছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না।