পীরগাছায় গাছে বেঁধে রাতভর নারীকে নির্যাতন

রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নে এক নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাতভর নির্যাতন করা হয়েছে।

এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে এলাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

ইত্তেফাক পরিবেশিত এক খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে (৩ অক্টোবর) শেফালী বেগম নামের ওই নারীকে তার স্বামী নজরুল ইসলাম ও স্বামীর প্রথম স্ত্রী আমেনা বেগম মারধর করেন। পরে মধ্যরাতে তাকে বাড়ির উঠানে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফের মারধর করা হয়। ভোরে শেফালীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন। এ সময় স্থানীয়রা ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে প্রতিবেশীরা শেফালীর হাতের বাঁধন খুলে দেন।

ভুক্তভোগী  জানান, একই উপজেলার পাওটানা হাটের নিজতাজ গ্রামে তার বাড়ি। ২০১৪ সালে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাকে নির্যাতন করতেন স্বামী ও সতীন। এ কারণে তিনি তার নিকটজনের কাছে প্রায় এক বছর ধরে আশ্রিত ছিলেন। শুক্রবার রাতে তিনি স্বামীর বাড়িতে এলে নজরুল বলেন, তাকে তালাক দিয়েছেন। শেফালী তালাকের কাগজ দেখতে চাইলে তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য শাহীন মির্জা সুমন বলেন, এ ঘটনার পর তিনি ওই নারীকে নিরাপদে থাকার জন্য আত্মীয়দের কাছে পাঠিয়ে দেন।

ঘটনাস্থল রংপুর মেট্রোপলিটন থানা এলাকায় হওয়ায় মাহিগঞ্জ থানার ওসি কাছে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ অভিযোগ না করায় এ বিষয়ে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেননি তিনি।