এম. সুরুজ্জামান, শেরপুর: শেরপুর সদরের এক নিরীহ কৃষককে হত্যা মামলায় জড়িয়ে ফাঁসানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী। রোববার দুপুরে জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর কোনাচিয়া পাড়ার কৃষক মো. আব্দুল জলিলকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দীকি নির্বাচনের সময় তার বিপক্ষের প্রার্থীর সমর্থনে নির্বাচনী কাজ করায় তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একটি হত্যা মামলায় জড়িয়ে দেন।
সূত্র জানায় , গত ৯ সেপ্টেম্বর শেরপুর সদর থানায় শেরপুর শহরের শিংপাড়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে এক কলেজ ছাত্রী গৃহবধূকে হত্যা করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। নিহত কলেজ ছাত্রী চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দীকির আত্মীয়। চেয়ারম্যান মামলার বাদীকে প্রভাবিত করে আব্দুল জলিলকে শায়েস্তা করার জন্য ওই মামলার আসামি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এদিকে প্রায় তিনশতাধিক এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত একটি আবেদনে দাবি করা হয়, ঘটনার দিনে সেই সময় আব্দুল জলিল হাজারো লোকের সামনেই বাড়ির কাছেই ভীমগঞ্জ বাজারে পারিবারিক প্রয়োজনে অবস্থান করছিল। সুতরাং তার ওই হত্যা মামলায় তার জড়িত থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ কাল্পনিক।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দীকি জানান, হত্যার সাথে জড়িত বলেই তো তাকে আসামি করা হয়েছে। জলিল কীভাবে জড়িত জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার বাদী বিস্তারিত জানেন। কিন্তু এলাকাবাসী তো আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে যে আপনি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে এ মামলায় জড়িয়েছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ অভিযোগ সত্য নয়।
এ ব্যপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল করিম বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। যদি জলিলের সংশ্লিষ্টতা না থাকে তবে তাকে অবশ্যই অব্যাহতি দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে শহরের রঘুনাথ বাজার এলাকায় এ্যাম্বুলেন্সে বহন করা অবস্থায় কলেজছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তার নাম নূরানী আক্তার হিমু (২৫)। তিনি শেরপুর শহরের মধ্যশেরী শিংপাড়া মহল্লার সাইদ মিয়ার স্ত্রী ও শেরপুর সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনার্স চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রী।