প্রতিনিধি, রাজশাহী: সাবেক অধ্যক্ষের মামলার জালে আটকা পড়েছেন রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আট শতাধিক শিক্ষার্থী। আগামী ২ অক্টোবর ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণের শেষ সময় হলেও মামলার কারণে এখনো ফরম পূরণ শুরু হয়নি। ফলে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে পরীক্ষা।
রাজশাহী হেমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, নিজের স্ত্রীকে প্রথমে উপাধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে পরে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করেন সাবেক অধ্যক্ষ ডা. ইয়াছিন আলী। কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তা বাতিল হয়। তারপরও ডা. ইয়াছিন আলীর স্ত্রী সায়রা বানু নিজেকে অধ্যক্ষ দাবি করে তার স্বাক্ষরে বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল বোর্ডে ফরমের আবেদন পাঠান। কিন্তু সেই আবেদন জেলা প্রশাসকের সত্যায়িত না হওয়ায় হোমিওপ্যাথিক বোর্ড কোনো ফরম সরবরাহ করেনি। এরপর কলেজটির নামে একাধিক মামলা করেন ডা. ইয়াছিন আলী। উচ্চ আদালতে রিট থাকায় এ নিয়ে কলেজটির বর্তমান কমিটিও কোনো তৎপরতা চালাতে পারছে না। ফলে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ।
কলেজটির বর্তমান অধ্যক্ষ ডা. আনিছুর রহমান জানান, সাবেক অধ্যক্ষ ও তার স্ত্রী সায়রা বানুর মামলার কারণে ফরম পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে তারা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু করতে পারেননি। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে বলে তিনি জানান।