প্রতিনিধি, রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাতকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
আদালতের আদেশে দ্বিতীয় দফা ময়না তদন্ত শেষে রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের তিন সদস্যের বোর্ড এ প্রতিবেদন দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রংপুর থেকে পাঠানো প্রতিবেদন এরই মধ্যে মামলার বর্তমান তদন্তকারী সংস্থা রাজশাহী সিআইডি হাতে পেয়েছে।
সিফাতের দ্বিতীয় দফা ময়না তদন্ত বোর্ডের প্রধান ও রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিফাতের মৃতদেহ পরীক্ষার পর আমরা দেখেছি, লাশের মাথার পেছনে ডান দিক থেকে বাম দিক পর্যন্ত বড় ধরনের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং মস্তিস্কে রক্ত জমাট বেঁধেছিল। এর ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। এটি একটি হত্যাকাণ্ড।’
রাজশাহী সিআইডি’র পুলিশ সুপার শাহরিয়ার রহমান জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্টে সিফাতের মাথায় আঘাত করায় রক্তক্ষরণের ফলে তার মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে সিফাত হত্যা মামলার বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৪ জুন রাজশাহী চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জয়ন্ত রাণী দাশ সিফাতের লাশ কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়না তদন্তের আদেশ দেন। আদালত রংপুর মহানগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থানে দাফন করা সিফাতের লাশ উত্তোলন করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক, রংপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সমন্বয়ে কমিটি করে পুনরায় ময়না তদন্তের আদেশ দেন।
আদেশের প্রেক্ষিতে গত ২১ জুন রংপুরের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পুলিশ রংপুর মহানগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থান থেকে সিফাতের লাশ উত্তোলন করে। পরদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। ভিসেরা রির্পোট পাওয়ার পর মেডিকেল বোর্ড নিশ্চিত হয় যে, সিফাতকে হত্যা করা হয়েছে।
উল্লেখ, গত ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় নগরীর মহিষবাথান এলাকার অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন রমজানের বাড়িতে তার পুত্রবধূ ওয়াহিদা সিফাতের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ঘটনার চার দিন পর সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার রাজপাড়া থানায় হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেন। এরপর সিফাতের স্বামী মোহাম্মদ আসিফ ওরফে পিসলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দম্পতি আড়াই বছরের একটি সন্তান রয়েছে।